রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিঘার সমুদ্র সৈকতে হাতে হাত ধরে রোম্যান্টিক মুডে ঘুরে বেড়াতে কোন দম্পতিই না ভালবাসেন। কিন্তু তাই বলে সন্তানকে ভুলে আনন্দে মাতলেন তাঁরা! হ্যাঁ, পাঁচ বছরের সন্তানকে গাড়িতে ফেলে রেখেই দিঘায় সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে আটকে থাকায় রীতিমতো শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশুটির। শেষমেশ, পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাকে। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
বুধবার গাড়ি নিয়ে দিঘার সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। সঙ্গে ছিল বছর পাঁচের সন্তান। শিশুকে গাড়ির চালকের কাছে রেখেই স্নান করতে চলে যান দু’জন। অনেকটা সময় কেটে গেলেও গাড়ির কাছে ফেরেননি তাঁরা। এদিকে, মা-বাবাকে দীর্ঘক্ষণ দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় ওই শিশু। “বাবা-মায়ের কাছে যেতে চাই।” গাড়ির চালকের কাছে এমনই বায়না করতে থাকে সে। চালক তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও শিশুর কান্না কিছুতেই থামছিল না। অগত্যা, গাড়ির মধ্যেই শিশুকে রেখে লক করে ওই দম্পতির খোঁজে বেরিয়ে যান চালক। তারপরই ঘটে বিপত্তি। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ গাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশুর। ভয়ে আর কষ্টে চিৎকার করতে থাকে সে। তার কান্না শুনে এগিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দা এবং সেখানে উপস্থিত পর্যটকরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়ির কাচ ভেঙে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পাঁচ বছরের বাচ্চা তখন এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল যে চিকিৎসককে ডাকতে হয়। চিকিৎসার পর সুস্থ হয় সে।
এদিকে, মা-বাবার এমন অপদার্থতায় অবাক এবং বিরক্ত স্থানীয়রা। ওই দম্পতি ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁদের উপর চড়াও হন অন্যান্য পর্যটকরা। সন্তানকে ফেলে এভাবে স্নান করতে যাওয়ায় তাঁদের ধিক্কার জানান স্থানীয়রা। এমনকী তাঁদের গণধোলাইও দেওয়া হয় বলে খবর। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এসে পুরো বিষয়টি সামাল দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.