সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গলার নলিকাটা। বিছানায় পড়ে স্ত্রীর দেহ। রক্তারক্তি কাণ্ড। ওই ঘরেই ঝুলছেন স্বামী। আড়াই বছরের শিশুর কান্নায় দম্পতির রহস্যমৃত্যুর খবর টের পান প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় সোনারপুরের মথুরাপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানা এলাকার বাসিন্দা শশধর হালদার এবং পায়েল হালদার। বছর কয়েক আগে বিয়ে হয় তাঁদের। আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে। শশধর পেশায় হকার। ট্রেনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন তিনি। সম্প্রতি মথুরাপুরে বাড়ি ভাড়া নেন দম্পতি। অভিযোগ, তারপর থেকে দুজনের অশান্তি শুরু হয়।
প্রতিবেশীদের দাবি, শুক্রবার রাত থেকে ওই দম্পতির কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে আড়াই বছরের খুদে সন্তানকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাতেই সন্দেহ হয়। দম্পতির খোঁজে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ঘরে ঢুকে চমকে যান প্রতিবেশীরা। দেখেন, ঘরে বিছানার উপরে পড়ে রয়েছেন গৃহবধূ পায়েল। তাঁর গলার নলিকাটা। ওই ঘরেই সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন শশধর।
খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন করেন শশধর। পরে আত্মঘাতী হন তিনি। সাংসারিক অশান্তি নাকি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, দুজনেই খুব মিশুকে ছিলেন। দুজনের মধ্যে যে অশান্তি হত, তা-ও সেভাবে জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। ঠিক কোন কারণে এমন অঘটন ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.