টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তাঁদের সম্পর্কে মেনে নেয়নি পরিবারের লোকেরা৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য গ্রামে গিয়ে আত্মহত্যা করল প্রেমিক যুগল৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়া তালড্যাংরায়৷ কিন্ত, আত্মহত্যা যদি করারই ছিল, তাহলে তো নিজেদের গ্রামেই করতে পারত৷ অন্য গ্রামে কেন গেল ওই তরুণ ও তরুণী? দানা বেঁধেছে রহস্য৷
[ছাগল চুরির অভিযোগ, সালিশি সভার নিদানে মাথা মুড়িয়ে গ্রামে ঘোরানো হল যুবককে]
বাঁকুড়ার সিমলাপালের বাঁশখালি গ্রা্মের বছর চব্বিশের যুবক কৃষ্ণপদ লোহার৷ তাঁর প্রেমিকা বকুল নেহাতই কিশোরী৷ তার বয়স ১৪ বছর৷ বাঁশখালি গ্রামেই থাকত সে৷ গ্রামবাসীদের দাবি, কৃষ্ণপদ ও বকুলের সম্পর্ক মেনে নেননি দুই পরিবারের সদস্যরা৷ এই নিয়ে দুই বাড়িতে অশান্তি চলছিল৷ বহু চেষ্টা করেও ওই দুই তরুণ-তরুণী আলাদা করতে পারেননি বাড়ির লোকেরা৷ বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই বাঁশখালি গ্রামের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় কৃষ্ণপদ ও বকুল৷ রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ শুক্রবার সকালে তালড্যাংরা থানায় কদমা গ্রামে ওই প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা৷ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ তবে খুন নয়, এটি আত্মহত্যাই বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷ প্রশ্ন একটাই, আত্মহত্যা করার জন্য নিজেদের গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিমি দূরের অন্য একটি গ্রাম কেন গেল কৃষ্ণপদ ও বকুল? ধন্দে পুলিশ৷ তদন্ত শুরু করেছে তালড্যাংরা থানায় পুলিশ৷
মাস খানেক আগে পুরুলিয়ায় একই পরিণতি হয়েছিল এক প্রেমিক যুগলের৷ সন্তানে প্রেম মেনে নিতে পারেননি ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা৷ সাতসকালে পুরুলিয়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া লায়েকডি মোড়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তুলসীচরণ মাহাতো ও তাঁর প্রেমিকা সাবিত্রী৷
[ বোরখা পরে প্রাক্তন স্ত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, ধৃতকে গণপ্রহার গ্রামবাসীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.