ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরে আত্মঘাতী যুগল৷ শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের অন্দর থেকে উদ্ধার হল ছাত্র,ছাত্রীর মৃতদেহ৷ পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুগল৷ তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে৷ এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্বভারতীয় নিরাপত্তা৷
[আরও পড়ুন: আশঙ্কা থাকলেও প্রভাব পড়ল না ফণীর, স্বস্তিতে সু্ন্দরবনবাসী]
জানা গিয়েছে, বিশ্ব ভারতীর আম্রকুঞ্জ ও চিনা ভবনের কাছাকাছি স্থান থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় ওই যুগলের মৃতদেহ৷ রাত ১১টা নাগাদ আশ্রম চত্বরের একটি বেদিতে দু’জনকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই খবর দেন শান্তিনিকেতন থানায়৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম সোমনাথ মাহাতো। তাঁর বাড়ি বোলপুরের জামবুনিতে। এরা দু’জনেই বোলপুরের শ্রীনন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। যদিও ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা নিয়ে। আম্রকুঞ্জ-সহ আশ্রমের বাকি অংশ রাত ৮টার পর বন্ধ হয়ে গেলেও, কীভাবে এই যুগল সেখানে প্রবেশ করল, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে৷
[আরও পড়ুন: ফণীর ছোবলে দেরিতে আসবে বর্ষা, শুখা মরশুমের আশঙ্কা হাওয়া অফিসের ]
নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ৷ তাঁদের আরও অভিযোগ, সন্ধে হলেই ক্যাম্পাসে আনাগোনা বাড়ে বহিরাগতদের৷ কিন্তু নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে জানিয়েছেও তেমন কোনও লাভ হয়নি৷ পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত সম্পর্কে বিবাদের কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে ওই যুগল৷ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, একত্রে কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত? তাই আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলেই জানিয়েছেন পুলিশ অফিসাররা৷ যদিও, এই ঘটনার জেরে ত্রস্ত অন্যন্য পড়ুয়ারাও৷ আবারও প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.