ছবি: প্রতীকী
অর্ণব দাস: মূক-বধির (Deaf and Dumb) পরিচারিকার উপর নির্যাতনের অভিযোগ ছিল অপর এক মূক-বধির দম্পতির বিরুদ্ধেই। আট বছর আগের সেই ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁর স্ত্রী অপর অভিযুক্ত তানিয়া চক্রবর্তী অধরাই ছিলেন। নানা চড়াই-উতরাইয়ের পর শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত তানিয়াদেবী। শনিবার খড়দহ থানার (Khardaha Police Station) পুলিশ বারাকপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। এতদিন তিনি ওই আত্মীয়ের বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মূক এবং বধির দম্পতি সঞ্জীব এবং তানিয়া চক্রবর্তী। প্রায় বছর আটেক আগে তাঁরা বাগুইআটির বাসিন্দা এক মূক বধির মহিলাকে পরিচারিকার কাজের জন্য নিয়ে আসেন। মহিলা দম্পতির বাড়িতে থেকেই কাজ করতেন।
তাঁর অভিযোগ, বাথরুমে ক্যামেরা লাগিয়ে তাঁর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল (Blackmail) করতে শুরু করে দম্পতি। এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘদিন তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলেও অভিযোগ। চলে আরও শারীরিক নির্যাতন (Physical Torture)। কোনওমতে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বাগুইআটি ফিরে গিয়ে বিচার চেয়ে মূক-বধির সংগঠনের (Deaf and Dumb Union) দ্বারস্থ হন।
সংগঠনের তরফে মাসকয়েক আগে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে মাস দেড়েক আগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত সঞ্জীব চক্রবর্তীকে। কিন্তু তখন তাঁর স্ত্রীর নাগাল পায়নি পুলিশ। এরপরই সংগঠনের তরফ থেকে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে (Office of Chief Minister) জানানো হয়। নির্যাতিতার পাশে এসে দাঁড়ান বিশিষ্ট ইন্টারপ্রেটার রজনী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি তদারকি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবশেষে শনিবার তানিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে খড়দহ থানার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি নির্যাতিতার পরিবার-সহ মূক-বধির সংগঠনের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.