শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আগলে রাখা হয়েছে সাত দশকেরও বেশি সময়। বর্তমানে জলপাইগুড়ির নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের হেফাজতে থাকা ভারতের প্রথম নেতাজির মর্মর মূর্তি এবার সংরক্ষণের উদ্যোগ নিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। ফাউন্ডেশনের ঘরবন্দি এই মর্মর মূর্তিটি যাতে সাধারণ মানুষ দেখতে পারেন তার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
নেতাজি জন্মজয়ন্তীর মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ দপ্তরের নেওয়া এই পদক্ষেপে খুশি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। তথ্য বলছে, দুবার জলপাইগুড়ি শহরে এসেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। প্রথম বার ১৯২৮ সালে। নেমেছিলেন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে। দ্বিতীয়বার আসেন ১৯৩৯ সালে। সেবার জলপাইগুড়ি শহরের বুকে দাড়িয়ে ইংরেজদের ভারত ছাড়া করার ডাক দিয়ে ছিলেন নেতাজি। তাঁর একাধিক স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ির আনাচে-কানাচে।
দেশ নায়কের ১২৯ তম জন্মজয়ন্তীর আগে নিজেদের সংগ্রহে রাখা প্রথম নেতাজির মূর্তি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক গোবিন্দ রায়। গোবিন্দবাবুর কথায়, “ভারতবর্ষে নেতাজির প্রথম মর্মর মূর্তি স্থাপিত হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর পাড়ে ১৯৫১ সালে নেতাজির ৫৪ তম জন্মদিনে স্থাপিত হয়েছিল তাঁর প্রথম মর্মর মূর্তি। মূর্তির পাশে রাখা রয়েছে ইম্ফলে নিহত আজাদ হিন্দ সৈনিকদের অস্থি, চিতাভষ্ম। স্বাধীনতা সংগ্রামী কবিরাজ সতীশচন্দ্র লাহিড়ির উদ্যোগেই তৈরি হয় সামরিক পোশাকে সজ্জিত নেতাজির এই মূর্তি।মূর্তির উদ্বোধন করেন তৎকালীন বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল।
বর্তমানে নেতাজি মূর্তিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নেতাজি সুভাষ সংগ্রহশালা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, এর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশ নায়ককে যাতে আরও বেশি করে মানুষ জানতে পারেন। তাঁর প্রথম মূর্তিটিকে সংরক্ষণ করে আরও বেশি মানুষকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া যায় জন্যই এই উদ্যোগ। এবার তাই নেতাজি জয়ন্তীতে বাড়তি উৎসাহ স্থানীয়দের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.