Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনাস্থা

অচলাবস্থা কাটাতে তোড়জোড়, অনাস্থা পেশে বৈঠকের চিঠি বনগাঁর ৩ কাউন্সিলরের

আগামী মঙ্গলবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে৷

Councilors send letter of no confidence motion to the administration
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 12, 2019 9:39 pm
  • Updated:July 12, 2019 9:39 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বনগাঁ পুরসভার অচলাবস্থা দ্রুত কাটাতে অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দিয়েছে হাই কোর্ট৷ তা মেনে প্রক্রিয়া শুরু করতে তিনজন কাউন্সিলর আগামী মঙ্গলবার পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য বৈঠক ডাকলেন৷ শুক্রবার ওই বৈঠকের চিঠি বনগাঁ পুলিশ সুপার, বনগাঁ মহকুমা শাসককে ও বনগাঁ থানার পুলিশ অধিকারিকের কাছে জমা দিয়েছেন৷ পুরসভা বন্ধ থাকায় চেয়ারম্যানের অফিসে ই-মেল করে পাঠান তাঁরা।

[আরও পড়ুন: গাফিলতিতেই রোগীমৃত্যু, হাসপাতালকে জরিমানার নির্দেশ রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের]

অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু করতে টালবাহানা চলছে, এই অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরুর আরজি জানিয়ে  হিমাদ্রি মণ্ডল, মনোতোষ নাথ, দিব্যেন্দু বিকাশ বৈরাগী নামে  তিন কাউন্সিলর  কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে তিন কাউন্সিলর মিলে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার জন্য বৈঠক ডাকতে পারেন৷ সেই মতো বৈঠকের চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ এ নিয়ে চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, ‘হাইকোর্ট জানিয়েছে পৌর আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে৷ ওই কাউন্সিলররা যদি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চায়, তাহলে আইন অনুযায়ী আমার কাছে আবার অনাস্থা চিঠি দিতে হবে৷’

Advertisement

বনগাঁ পুরসভায় ২২টি ওয়ার্ড রয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের ২০ জন এবং একটি করে ওয়ার্ড ছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে। লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ  কেন্দ্র থেকে এবার জয়লাভ করে বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বনগাঁ পৌর এলাকায় বিজেপির থেকে প্রায় কুড়ি হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে বনগাঁ পৌর এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবির একমাত্র কারণ চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর অনৈতিক কাজকর্ম, স্বৈরাচারী মনোভাব  ও স্বজনপোষণ৷ এসব জানিয়ে  চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বিরুদ্ধে ১৪ জন কাউন্সিলর তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। শংকর আঢ্যকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানান।

[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করায় প্রহৃত বিজেপি কর্মী]

পরিস্থিতি সামাল দিতে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে বিজেপি পার্টি অফিসে গিয়ে  ১২ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেন। বাকি দু’জন  তৃণমূলে থেকে যান। এরপরই তড়িঘড়ি  জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে শংকর আঢ্যকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান। তবে তিনি তা মানতে রাজি নন। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশমতো অনাস্থার চিঠি তাঁকে চাপে ফেলতে পারে বলে মত বিরোধীদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement