ধীমান রায়, কাটোয়া: বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন সিপিএমের এক কাউন্সিলর। কারণ পাত্রী নাবালিকা! খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে কাউন্সিলরের বাড়িতে হাজির হন চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা। নাবালিকার উদ্ধার করা গিয়েছে, তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলর পলাতক। ওই কাউন্সিলর ও নাবালিকার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মা-কে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাটে।
[ চিকিৎসায় চরম গাফিলতি, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীরে ভুল রক্ত]
দাঁইহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল। বয়স মধ্য তিরিশ, পেশা গৃহশিক্ষকতা। জানা গিয়েছে, দাঁইহাটেরই বেড়া সিদ্ধেশ্বরীতলার বছর ষোলোর এক কিশোরী কাউন্সিলরের কাছে প্রাইভেট টিউশনি পড়ত। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। ক্রমে নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মণ্ডলের। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে তিনি বিয়েও করে ফেলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, কাউন্সিলরের বিয়ের খবর চাপা থাকেনি।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল পুলিশও। চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের দাবি, বয়সের প্রমাণপত্র খতিয়ে দেখে জানা যায়, ওই কিশোরীর বয়স ষোলো বছর। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে ধরা যায়নি। বিপদ বুঝে পালিয়েছেন তিনি। বিয়ে বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে জানা গিয়েছে। দাঁইহাট পুরসভার কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল ও ওই নাবালিকার বাবা-মার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। নাবালিকার মা-কে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। চাইল্ডলাইনের কাটোয়া এলাকার কো অর্ডিনেটর অরুপ সাহা বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে দাঁইহাটে এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্ভবত কোনও মন্দিরে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন ওই কাউন্সিলর। তিনি নববধূকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই আমরা পৌঁছাই।’
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ চোখ নড়ছে, শ্মশান থেকে দেহ আবার হাসপাতালে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.