শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পরিবারের আসল রোজগার সচেতনভাবে কম দেখিয়ে সরকারি ভাতা তুলছে তফসিলি ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ৷ যার ফলে সরকারি আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কম আয়যুক্ত পরিবারের পড়ুয়ারা৷ সম্প্রতি এমনই অভিযোগ জমা পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার অনগ্রসর উন্নয়ন দপ্তরে৷ যা শুনে কার্যত নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশা্সন৷
[পরকীয়ার জের, স্ত্রীর প্রেমিককে নৃশংসভাবে খুন যুবকের]
জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে খবর, তফসিলি জাতি, উপজাতি-সহ অনগ্রসর শ্রেণির পরিবারের বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কম হলে, সেইসব পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি ভাতা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু বাস্তব বলছে, তা হচ্ছে না৷ অভিযোগ, এই আয়ের চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করা পরিবারের শিক্ষার্থীরা সরকারি ভাতার জন্য নির্বিবাদে আবেদনপত্র জমা দিয়ে টাকা তুলছেন। কিন্তু যথাযথ প্রমাণের অভাবে সেইসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না। এখন অভিযোগ জমা পড়তেই এই জালিয়াতি বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। এই ব্যাপারে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের জেলা আধিকারিক প্রদীপ দাস বলেন, “সমস্ত আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভাতার আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।”
[আলতা পরার স্বপ্নাদেশ পাঁচ কান হতেই পা রাঙানোর ধুম পাড়ায়]
জানা গিয়েছে, জেলার তফসিলি জাতি-উপজাতি ও ওবিসি মিলিয়ে পোস্ট ম্যাট্রিক ভাতার জন্য ইতিমধ্যে ৫৯ হাজার ১০৯টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। একাদশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এমনকি এমবিবিএস পাঠরত তফসিলি জাতি-সহ অনগ্রসর পরিবারের পড়ুয়ার দেড় হাজার থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা ভাতা পান। এখানেই পরিবারের আয়ের ভুয়ো নথি জমা দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে খবর, ভুয়ো নথি দেখিয়ে দেদার ভাতা প্রাপক শিক্ষার্থীদের ইতিমধ্যে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ভুয়ো নথি প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.