Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian Railways

অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির মারে জেরবার ভারতীয় রেল, অভিযোগ খোদ কর্মীদের

এক শ্রেণির পার্সেল কর্মীর কারসাজি ও দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।

Corruption bleeding Railways, alleges a section of employees
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 5, 2020 4:17 pm
  • Updated:September 5, 2020 7:22 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে পণ্য পরিবহণে জোর দিয়ে আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাইছে রেল। রেলমন্ত্রী, বোর্ড চেয়ারম্যান থেকে জিএম পরিবহণ ব্যবস্থাকে যখন সুগম করতে চাইছেন, ঠিক তখন এক শ্রেণির পার্সেল কর্মীর কারসাজি ও দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের। হাওড়া পার্সেলের পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে এমনটাই অভিযোগ। ব্যবসায়ী থেকে রেলের দুর্নীতি দমন শাখা পর্যন্ত এই অভিযোগে সরব।

[আরও পড়ুন: একমাত্র স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় অনলাইন ক্লাসে সমস্যার আশঙ্কা, আত্মঘাতী স্কুলছাত্রী]

অভিযোগ, এক শ্রেণির পার্সেলকর্মীর জন্য রেলের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে রেলের ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। অভিযোগ, ১৮ থেকে ২০ টন পণ্য বুকিং দেখিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টন পণ্য পার্সেল ভ্যানে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি পণ্য থেকে যা আয় হয় তা এক শ্রেণির কর্মীর পকেটে ঢুকছে। হাওড়ার ডিআরএম পার্সেল কর্মীদের একাংশের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পার্সেলে থাকা কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য বদলির তালিকা তৈরি করেও কার্যকর করা যায়নি কারণ বোর্ড আগামী মার্চ পর্যন্ত বদলি বন্ধ রেখেছে। কম ফরওয়ার্ডিং দেখিয়ে বেশি পণ্য তোলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।” দিন কয়েক আগেই এই অব্যবস্থা হাতেনাতে ধরেন হাওড়ার সিনিয়ার ডিসিএম রাজীব রঞ্জন। একই সুরে তিনি বলে, “বদলির তালিকা তৈরি হয়ে পড়ে আছে। নির্ধারিত সময়ের পর সবাইকে বদলি করা হবে।”

Advertisement

কঠিন পরিস্থিতিতে রেল সেকেন্দ্রাবাদ, মুম্বই, হায়দ্রাবাদে পণ্য পরিবহণ করছে। রেডিমেড গার্মেন্টস, শাড়ি প্রচুর বুকিংয়ের পাশাপাশি পচনশীল দ্রব্য যাচ্ছে রেলে। চাহিদা থাকায় দুর্নীতি সীমাহীন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। আগে এলে আগে বুকিং আইনের তোয়াক্কা না করে বাড়তি টাকা দিলে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আউট ওয়ার্ড গোডাউনে থেকে প্রায়ই গোডাউনে রেলকর্মীর থেকে বহিরাগত লোকের সংখ্যা বেশি। গাড়ি লোডিং-অনলোডিং, খাতা কলমের সব কাজই বেআইনি ভাবে করছেন বহিরাগতরা। এক শ্রেণির কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন শাখার বহু অভিযোগ রয়েছে। চার্জশিট প্রচুর থাকা সত্বেও একই জায়গায় বসে রয়েছেন তাঁরা। দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীদের অভিযোগ, একজনকে বদলি করা হলে সেখানে ফিরিয়ে আনা হয় না। সিপিও অর্ডার নাম্বার ৪৯/৪৬ অনুযায়ী চূড়ান্ত বেআইনি এই কাজ। তা সত্বেও দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীদের হাতে ধরা পড়ার পর সালারে বদলি হয়ে যাওয়া বিষ্ণুপদ হালদারকে ফিরিয়ে এনে এসইআর আউট ওয়ার্ডে বসানো হয়েছে। চূড়ান্তভাবে বেআইনি কাজ এটি বলে জানান তারা। এছাড়া পার্সেল থেকে সম্প্রতি অবসর নেওয়া কমার্শিয়াল সুপারভাইজার এখনও এসে বেআইনি কাজকর্ম চালাচ্ছেন প্রকাশ্যে। কর্তাদের একাংশ সব জেনেও কান দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা হওয়ায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডিউটি করানোর আইন মানা হয়না বলে বারবার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি বলে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ।

[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল জীবনযাপনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, নিজেকে অপহরণের ফাঁদ পাতল বেকার যুবক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement