রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: আমফানের (Amphan) ক্ষতিগ্রস্তদের মতোই এবার পুরোহিত ভাতার তালিকা তৈরিতেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পুরোহিত ভাতার তালিকায় এমন বেশ কিছু পদবীর ব্যক্তির নাম রয়েছে যারা আদতে ব্রাহ্মণ নয়। রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা টিনা সাহার স্বামীর নামও! এদিকে যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো করে আসছেন তাঁদেরই নাম নেই। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তেহট্ট মহাকুমা এলাকার পুরোহিতেরা। বুধবার ভাতার তালিকা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জানাতে ব্লক অফিস যান তেহট্টের ব্রাহ্মনরা।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের তরফে কারা তালিকাটি বানিয়েছেন তা নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেননি। তবে তেহট্ট-১ বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক জানিয়েছেন, জেলা থেকেই তাঁদের কাছে পুরোহিত ভাতার একটি তালিকা পৌঁছয়। সেই তালিকা অনুসারে পুরোহিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। একথা শোনার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধিকাংশ পুরোহিত। তাঁদের কথায়, সাহা, ঘোষ, সরকার, বিশ্বাস পদবীধারী ব্যক্তিরা কখনই ব্রাহ্মণ হতে পারেন না। তাঁদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহার স্বামী নিলয় সাহা কখনই ব্রাহ্মণ হতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তার নাম তালিকায় এল কিভাবে? স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণরা। অনেকে অভিযোগের সুরে বলেন, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হলেই মিলবে ভাতা!
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা বলেন, “কেন আমার স্বামীর নাম তালিকায় এল সে বিষয়ে মহকুমা শাসক ও বিডিও’র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার স্বামী স্থানীয় একটি পুজো কমিটির সম্পাদক, আমরা ব্রাহ্মণ নই, কাজেই তালিকায় নাম আসা উচিত নয়।” পাশাপাশি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কেউ এই ইচ্ছাকৃত আমার স্বামীর নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। সত্যিই খুবই খারাপ বিষয়। আমাদের পরিবার ও দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই দলের মধ্যে থেকেই কেউ এ কাজ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.