ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা (Coronavirus) সতর্কতায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তা খুলবে না। আপাতত সরকারের নির্দেশ, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। এই আবহে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondery) পরীক্ষার সিলেবাস কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, দুই মেগা পরীক্ষায় সিলেবাসে কাটছাঁট করার প্রক্রিয়া চলছে। উলটোদিকে শিক্ষামহলের যুক্তি, রাজ্যের এই দুই বড় পরীক্ষায় সিলেবাস কমালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে সমস্যায় পড়তে পারে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা।
আগামী বছর কবে মাধ্যমিক (Madhyamik) এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করেছে। স্বশাসিত দুই সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী বছর রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আলোচনা আপাতত বন্ধ। সর্বভারতীয় বোর্ডগুলি সিলেবাস কাটছাঁটের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। তবে পর্ষদ এবং সংসদের তরফে এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা হয়নি।
রাজ্যের স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটি এই বিষয়ে কয়েকটি ভারচুয়াল বৈঠক করেছে। কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, সিলেবাস কমানো হতে পারে, তবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিক্ষামহলের একটি অংশ দাবি করেছে, শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে আগের মতো এপ্রিল থেকে মার্চ করা হোক। উল্লেখ্য, এখন রাজ্যের শিক্ষাবর্ষ চালু আছে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য সরকারকে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন, আইসিএসই এবং সিবিএসই’র সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমাদের রাজ্যে স্কুলস্তরে এপ্রিল থেকে মার্চ শিক্ষাবর্ষ হলে ছাত্র-ছাত্রীরাই উপকৃত হবে। সিলেবাস কমালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যায় পড়বে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.