রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: চিন থেকে আসা জাহাজের মাধ্যমে হলদিয়া বন্দরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। জারি হয়েছিল সতর্কবার্তাও। এবার হলদিয়া বন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার হলদিয়া বন্দরের সমস্ত জাহাজ কর্মীদের নিয়ে একটি সচেতনতা মূলক বিশেষ শিবির হয়ে গেল। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে বন্দরে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে, যাঁরা করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করবেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত নজর রাখছেন দেশবিদেশের প্রত্যেকটি জাহাজ এবং কর্মীদের উপর।
এমনিতে খিদিরপুর, হলদিয়া বন্দরে চিন-সহ একাধিক দেশ থেকে আসে পণ্যবাহী জাহাজ। তার সংখ্যা খুব একটা কম নয়। চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে রাজ্যের এই বন্দরগুলিতে সতর্কতা জারি হয়েছিল। জাহাজের ক্রু-দের শারীরিক পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দু’টি বন্দরেই পাঁচটি করে মোট দশটি স্ক্যানার লাগানো হয়েছে। এতে তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। চিন বা অন্যান্য দেশ থেকে আসা জাহাজ জেটিতে ভিড়লেই কর্মীদের কাছে থার্মাল স্ক্যানার নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যদি অসুস্থতার কোনও চিহ্ন মেলে, তাহলে জাহাজ থেকে তাঁকে বন্দরে নামতে দেওয়া হবে না। সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। করোনা মোকাবিলায় এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেইমতোই বৃহস্পতিবার হয়ে গেল শিবির। বুঝিয়ে দেওয়া হল, কী কী ভাবে কাজ করতে হবে। সাধারণ কর্মীদেরও আপাতত হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পরে বিদেশি জাহাজগুলি থেকে পণ্য খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কলকাতাতেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা। বেলেঘাটর নাইসেডে শুক্রবার থেকে পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত। এর আগে পর্যন্ত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হত। সেখানেই একমাত্র নোভেল করোনা ভাইরাস আছে কি না, তা নির্ণয় করা সম্ভব হতো। কিন্তু এবার থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টারিক ডিজিজ (নাইসেডেই)-এর ল্যাবরেটরিতে সেই পরীক্ষা হবে রোগীর সোয়াব সংগ্রহ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.