জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মতুয়া ধর্মমেলা উপলক্ষে ভিনরাজ্য থেকে ঠাকুরবাড়িতে এসে আটকে পড়ল শতাধিক ভক্ত। মেলা শুরু হওয়ার দিন দুয়েক আগে ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন তারা। করোনা আতঙ্কে মেলা বন্ধের ঘোষণার পর কী করে ফিরবেন ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। যানবাহন সব বন্ধ। ঠাকুর বাড়ির অতিথিশালায় রয়েছেন তারা। ভয় উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটছে তাদের
সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সভা-সমিতি মেলা বন্ধের কথা জানিয়েছিল রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। তারপরেই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর মতুয়া মহা ধর্মমেলা বন্ধের কথা জানান। হাই কোর্টের পক্ষ থেকেও মেলা বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়। পরে শান্তনু ঠাকুরদের মতুয়া সংঘের পক্ষ থেকেও মেলা ও পুণ্যস্নান বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়৷ ২২ মার্চ মতুয়া মহা ধর্মমেলায় যোগ দিয়ে কামনা সাগরে পুণ্যস্নান করতে দিন কয়েক আগে মহারাষ্ট্র, বিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, শিলিগুড়ি থেকে কয়েকটি দল ঠাকুরবাড়িতে এসে হাজির হয়।
মেলা হবে না জানতে পেরে কয়েক জন ফিরে গেলেও রবিবার দেশজুড়ে জনতা কারফিউ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে আটকে পড়েছেন শ’দুয়েক মানুষ। ঠাকুরবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘরের মধ্যেই দিনযাপন করছেন তারা। সোমবার গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে দেখা গেল নাটমন্দির ও কয়েকটি অতিথিশালায় দলবেঁধে রয়েছেন ভক্তরা। ওড়িশা থেকে এসেছেন লতা সরকার, ঠাকুরদাস সরকার নামে এক দম্পতি। কবে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন বুঝতে পারছেন না বলে জানান তারা। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ৬৫ জনের দল নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন তরুণকান্তি বিশ্বাস। তরুণবাবু বলেন, ‘আগে জানতে পারিনি শুক্রবার রাতে ঠাকুরবাড়িতে এসে জানতে পেরেছি মেলা হবে না ও রবিবার জনতা কারফিউ করছে৷ ঠাকুরবাড়ি থেকে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা করলেও আতঙ্কের মধ্যে আছি৷ বাড়ি ফিরতে চাইছি।’
মতুয়া ধর্ম প্রচারক রবি হালদার বলেন, ঠাকুরবাড়ি এলাকায় যাঁরা রয়েছে তাদের প্রত্যেককেই করোনার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর বলেন, “মহারাষ্ট্র, বিহার, ওড়িশা-সহ একাধিক জায়গা থেকে বেশকিছু ভক্ত ঠাকুর বাড়িতে এসে আটকে পড়েছেন। আমরা তাদের থাকা-খাওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.