ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কয়েকদিন গায়ে জ্বর। আস্তে আস্তে আরও খারাপ হচ্ছিল শরীর। সেই অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম থেকে ক্যানিংয়ে এসেছিলেন করোনা (Coronavirus) পরীক্ষা করাতে। কিন্তু পরীক্ষার আগেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নিহত ৫৯ বছরের মনোজ মণ্ডল। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টেস্ট কিটের আকাল। তাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তিদের। আর সোমবার তারই মাঝে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। রবিবার সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের আমতলি গ্রাম থেকে চলে আসেন ক্যানিংয়ের পিয়ালিতে। সোমবার সকালে করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে লাইনে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তীব্র গরম, রোদ আর শারীরিক দুর্বলতার কারণে আর যুঝতে পারেননি তিনি। ফলে প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা পরিমল ডাকুয়া বলেন, ”মহকুমা হাসপাতাল থেকে চল্লিশটি টেস্ট করা সম্ভব প্রতিদিন। সেটাই করা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্যদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, প্রতিটি মহকুমা হাসপাতাল থেকে চল্লিশটা করে করোনা পরীক্ষা করানো হবে। প্রতিটি ব্লক হাসপাতাল থেকে তিরিশটা করে টেস্ট কিট পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তবে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বহু মানুষ আবার পরীক্ষা করাতে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যাচ্ছেন। জ্বর নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বাড়ি ফিরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে মঠেরদিঘি হাসপাতালের বিএমওএইচ হরিপদ মাঝি বলেন, ”৩০ জনকে টেস্ট করা হলেও দেখা যাচ্ছে সাত থেকে আট জন পজিটিভ রোগী পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি সেফ হোমগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে।” প্রতিটি এলাকায় টেস্টের অনেক বেশি জোর দেওয়া হবে এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে টেস্ট করাতে পারেন সে দিকেও নজর দেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.