ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনা প্রতিহত করতে লকডাউন। আর লকডাউন ভেঙে জমায়েতের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করতে গিয়ে এলাকার মানুষের হাতে আক্রান্ত হলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ৫ পুলিশকর্মীকে। তাদের মধ্যে একজনের মাথাও ফেটেছে। ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানার পাচুড়িয়া ধর্মতলা এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতেই এই ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় মানুষ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে লেদার কমপ্লেক্স থানার কোথাও যাতে জমায়েত না হয় তার জন্য বুধবার রাতে পুলিশ টহল দিচ্ছিল। এমন সময় পুলিশের কাছে খবর আসে পাচুড়িয়া ধর্মতলা এলাকায় একদল যুবক নেশা করতে জমায়েত হয়েছে। কলকাতা পুলিশের লেদার কমপ্লেক্স থানা তখনই সেই জায়গায় পৌঁছায়। মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে বোঝায়। লকডাউনে কাউকে বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার কথা বলে। তাতেই বাঁধে গোল। একদল গ্রামবাসী কেন পুলিশ তাদের বোঝাতে আসবে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বচসা শুরু করে দেন। আর এই বচসা হতে হতে আচমকাই পুলিশের ওপর আক্রমন শুরু করে দেন তাঁরা। পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে জিরানগাছা হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতভর এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে এমন একটা ঘটনা হতে পারে তা ভাবতে পারেননি আক্রান্ত পুলিশকর্মীরা। তাঁরা জানান, ভালভাবেই লকডাউন মানার কথা এবং করোনা নিয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। তার মধ্যেই কিছু গ্রামের মানুষ আক্রমণ শুরু করেন। বাঁশ দিয়ে মেরে একজনের মাথা ফাটিয়ে দেন। গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করেন।
উল্লেখ্য, একইভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আক্রমণ করা হয় জীবনতলা থানার পুলিশকর্মীদের। সেই ঘটনায় আহত হয় চারজন পুলিশ কর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িকে। তারপর আহত পুলিশ কর্মীরা প্রাণভয়ে একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান। তার কয়েকদিন আগে বারুইপুরের মল্লিকপুর এলাকায় সচেতনতা করতে গিয়ে বিডিও অফিসের কর্মীদের কে বেধড়ক মারধর করে এলাকার মানুষরা। ফলে একের পর এক পুলিশ প্রশাসনের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.