Advertisement
Advertisement

Breaking News

coronavirus

লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ

আশা জাগাচ্ছে সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হার।

Coronavirus in West Bengal: 3654 new cases in last 24 hours, 52 death| Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 17, 2020 8:00 pm
  • Updated:November 17, 2020 10:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিনে স্বস্তি উধাও। কালীপুজো, ভাইফোঁটা মিটে যেতেই রাজ্যে ফের লাফিয়ে বাড়ল করোনা  (Coronavirus) সংক্রমণ। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় (West Bengal) নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩৬৫৪জন। এ নিয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি রাজ্যের ৫২ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৭৬৬। অবশ্য দৈনিক সুস্থতার হারও বেড়েছে, এই মুহূর্তে তা ৯২ শতাংশেরও বেশি। করোনাযুদ্ধে আপাতত মূল হাতিয়ার এই সুস্থতার হারই।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৩৮৮ জন। সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪০। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সেই দুই জেলা – কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। উভয় জেলাতেই ৬৯০০র বেশি অ্যাকটিভ করোনা রোগী এই মুহূর্তে। করোনাযুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে কালিম্পং ও ঝাড়গ্রাম। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ হাজার ২৩৮টি, যার মধ্যে ৮.২৭ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বঙ্গ দখলে আরও জোর, চলতি মাসেই দ্বিতীয়বার রাজ্য সফরের সম্ভাবনা অমিত শাহর]

উৎসবের মরশুমে ভিড়ে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য দুর্গাপুজো, কালীপুজো সবই দর্শকশূন্য মণ্ডপে করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারি বিধি মেনেই ভিন্ন পরিস্থিতিতে বাঙালি উৎসবের মরশুম কাটিয়েছে। কালীপুজোও কেটেছে প্রায় বাজি ছাড়াই। আর স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে মানার ফলে গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণে রাশ টানা গিয়েছিল। ক্রমশই নিম্নমুখী হচ্ছিল এ রাজ্যের করোনা গ্রাফ। কিন্তু চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনই তা ফের লাফিয়ে বাড়ল। মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান খানিকটা ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের।

[আরও পড়ুন: কর্মব্যস্ত দিনেও লোকাল ট্রেনে বাড়ল না যাত্রী সংখ্যা, উদ্বেগে রেল]

আসছে শীতের মরশুম। সেসময় করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে না পারলে, পরিস্থিতি ফের আগের মতো উদ্বেগজনকই থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এসবের মাঝেও ৯২.০৪ শতাংশ সুস্থতার হার আশারই লক্ষ্মণ বলে মনে করছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement