সৌরভ মাজি, বর্ধমান: করোনা ভাইরাস রুখতে পারে মাস্ক। আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ এড়াতে তাই মাস্ক ব্যবহার খুবই প্রয়োজন। বাসিন্দাদের মধ্যে এই সচেতনতা গড়ে তুলতে নেমেছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। বর্ধমানে সেই সচেতনতা কিছুটা হলেও গড়ে তোলা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বর্ধমান স্টেশনের ভিড়ে দেখা গেল, সকলের মুখেই মাস্ক। প্রত্যেকেই যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, তার জন্য করোনা সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্কও দেওয়া হয়েছে।
কেউ যাচ্ছেন কাজের জায়গায়, কেউ বা হস্টেল ছেড়ে ফিরছেন দূরের বাড়িতে। রবিবারের বর্ধমান স্টেশনে বহু যাত্রীকে দেখা গেল। সঙ্গে ছোট-বড় নানা সাইজের লাগেজ। আর মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক। সকলেই জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাঁরা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরচ্ছেন না। দূরপাল্লার ট্রেনে সফরের ক্ষেত্রে এই মাস্ক খুবই জরুরি। এমনিতেও মারণ জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কায় বিলাসবহুল ট্রেনগুলিতে স্লিপার ক্লাসে কম্বল, চাদর দেওয়া বন্ধ করেছে রেল। তাও যাত্রীদের নিজেদেরকেই ব্যবস্থা করে নিতে বলা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা যদি করা হয়, তাহলে কেন প্রাথমিক সুরক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার নয়? এই প্রশ্ন তুলে সকলেরই বক্তব্য, নিজেদের সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিতে হবে নিজেদেরকেই।
ইতিমধ্যে বাজারে মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। আবার জোগানেও ঘাটতি রয়েছে। তা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন ক্লাবের তরফে রবিবার পথচলতি মানুষজনকে মাস্ক বিলি করে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এদিন তিন হাজারেরও বেশি জনকে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতেও মাস্ক বিলি করা হয়েছে। বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক কর্মীদের মাস্কও পরিয়ে দেন।
এদিন বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড়ে পথচলতি সকলকেই মাস্ক দেওয়া হয়। এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন ক্লাব একযোগে এই কর্মসূচি নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফে বাবলু গুহ জানান, তাঁরা এলাকার প্রায় সব ক্লাবকেই জানিয়েছিলেন করোনা নিয়ে সচেতন করার জন্য। উদ্যোক্তারা জানান, মানুষ সচেতন হলে করোনা ভাইরাস রোখা সম্ভব, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সকলেই যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন তারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এদিন উদ্যোক্তারা ৩২০০ মাস্ক বিলির জন্য নিয়ে এসেছিলেন। সকাল থেকে তা বিলি করা হয়েছে। এদিন মাস্ক পেয়ে খুশি হয়েছেন অনেকে। বিকাশ রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, “বাজারে মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। এভাবেই বিনা পয়সায় মাস্ক পেলাম, ভালই হল।”
ছবি ও ভিডিও: মুকুলেসুর রহমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.