সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাই যাই করেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে না বৃষ্টি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় গ্রীষ্ম, বর্ষা, বসন্ত সব মিলেমিশে একাকার। তবে সব মরশুমেই বৃষ্টির আসা-যাওয়ার থেকেও চিন্তার ভ্রুকুটি বাড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের(COVID-19) সংক্রমণ। ভারতে লাফিয়ে বাড়তে থাকা এই ভাইরাসের মারণ দাওয়াই হিসেবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, গরমেই কাবু হবে এই মারণ রোগ। তাই গ্রীষ্মের অপেক্ষায় ‘চাতক নয়নে’ রাজ্যবাসী।
ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। প্রতি বছরের শেষে অনিচ্ছুক শীতকাল কয়েক মাসেই হাঁড় কাপিয়ে দিলেও উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশেই অভ্যস্ত ভারতীয়রা। গরমের তাপমাত্রা প্রতিবছর এখানে নিজের আগের রেকর্ড ভাঙতে সিদ্ধহস্ত। তবে এই উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশই যে ভারতীয়দের মহামারি করোনার থেকে ত্রাতা হিসেবে রক্ষা করবে সেই আশ্বাসই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই বছর যত দ্রুত গরমের দাপট বাড়বে ততই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমবে ভারতে। কারণ, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা গেলে কোনও ভাইরাসই আর অবশিষ্ট থাকবে না, দাবি বিশেষজ্ঞদের। ফলে গ্রীষ্মের দাপটে যারা ওষ্ঠাগত প্রাণ হন এবার তারাই গাইছেন ‘এসো হে বৈশাখ’। তবে এখনই সেই গরমের দাপট অনুভূত হবে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও রাজ্যবাসীকে ভোগাবে বৃষ্টি। আজ, শুক্রবার বিকেল থেকেই দাপট দেখাতে পারে কালবৈশাখী।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এদিন বিকেল থেকেই বর্জ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় গুমোট ও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে। সামান্য বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা দুদিন ধরে চলবে সেই বৃষ্টি। রবিবারের পর থেকে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে এই বৃষ্টি হওয়ায় প্রধানত পশ্চিমের ভূখণ্ড থেকে পূর্বদিকে ধেয়ে আসবে বৃষ্টি। সকাল থেকেই তাই মুখবার থাকবে আকাশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.