ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: চিনে করোনা ভাইরাসের থাবা। একের পর এক মৃত্যুর খবর পেয়ে চিন্তায় বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা চিনা ছাত্রছাত্রীরা। দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। এদিকে, এই সময়েই চিন থেকে বিশ্বভারতীতে আসার কথা ছিল সেখানকার ৪৩ জন ছাত্রছাত্রীর। তাঁদের সফর বাতিল করেছে চিন সরকার।
চিনাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতন খুব জনপ্রিয়। সেখানকার সহায়তায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে চিনা ভবন। প্রতি বছর বিশ্বভারতী থেকে প্রচুর ছাত্রছাত্রী চিনে পড়তে যান এবং তেমনি চিন থেকেও ছাত্রছাত্রীরা ভাষা চর্চার জন্য আসেন বিশ্বভারতীতে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে চিন থেকে পড়তে আসা তিন জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন বিশ্বভারতীতে। এদের মধ্যে একজন বাংলা বিভাগে, অন্য দু’জন চিনা ভবনে পড়ছেন।
বাংলা বিভাগের ছাত্রী চিনে ইউনান প্রদেশের বাসিন্দা। বাকি দু’জনর বাড়ি বেজিংয়ে। একইভাবে চিন থেকে চিনাভবনে পড়াতে এসেছেন একজন শিক্ষক। তিনি এসেছেন ফুচিয়েন প্রদেশ থেকে। অন্যদিকে বিশ্বভারতী থেকে ৩ জন চিনে পড়তে গিয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন রয়েছেন ইউনান প্রদেশে, অন্যজন বেজিং শহরে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ৬-৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতী আসার কথা ছিল ৪৩ জন চিনা ছাত্রছাত্রীর। বিশ্বভারতীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে চিনা সরকার তাদের বিশ্বভারতী সফর বাতিল করেছে। বাংলা বিভাগে পড়তে আসা চিনা ছাত্রী গাও রুইহং বলেন, ”চিনে যা পরিস্থিতি, তার জন্য আমি আমার বাবা, মা, ভাইকে নিয়ে চিন্তায় আছি। আমি ওদের বলেছি, বাড়ি থেকে বের না হতে।” কিন্তু এত দূরে থেকে শুধুমাত্র প্রিয়জনদের সাবধান করে তো আর মন মানছে না। দিন কাটছে উদ্বেগেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.