ধীমান রায়, কাটোয়া: কাটোয়া যোগ রয়েছে মুর্শিদাবাদের সালারের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের। এই তথ্যই উদ্বেগ বাড়িয়েছে কাটোয়াবাসীর। সংক্রমণের আশঙ্কায় দরজায় খিল দিয়েছেন কেউ। কোথায় আবার সিল করে দেওয়া হয়েছে গোটা পাড়া। কার্যত আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, ৪ জন নার্স ও হাসপাতালের কর্মী, সাফাইকর্মী-সহ মোট ১৬ জন ও এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ওয়ার্ড।
কিন্তু ঠিক কীভাবে সালারের আক্রান্তের সঙ্গে যোগ রয়েছে কাটোয়ার? জানা গিয়েছে, কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়ি ফেরেন মুর্শিদাবাদের সালারের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ। এরপর ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ এপ্রিল তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া হাসপাতালে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার দুদিন পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট আসে পজিটিভ। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদে। সালার এলাকাটি মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানের সীমানা এলাকা হওয়ায় সতর্কতা মূলক ভাবে শনিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাটোয়ায় শাঁখাই ফেরিঘাট। এরপর শনিবার রাতে প্রকাশ্যে আসে করোনা আক্রান্তের নিবির কাটোয়া যোগ।
এদিনই জানা যায় আক্রান্তের কাটোয়া হাসপাতালে আসার বিষয়টি। শুধু আসা বা এক চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসাই নই, ওই দিন দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন বিভাগে ঘুরেছেন। যা এক ধাক্কায় সংক্রমণের আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়ি দিয়েছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়েছে ১৬ জনকে যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ। তাঁদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। পাশপাশি যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁকে কলকাতা পৌঁছে ছিলেন তিনি এই কদিন কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে সালারের আক্রান্তের কাটোয়া যোগ ঘুম উড়িয়েছে বহু মানুষের।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.