সুব্রত বিশ্বাস: করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রোধ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে তৎপর হয়েছে সকলেই। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত অধিক ভিটামিন যুক্ত খাবার খুঁজছেন সবাই। এই সুযোগকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। বাংলার মাছ যাচ্ছে বিহারে, সেখান থেকে আসছে বিশুদ্ধ ঘি। বিহারের কাটারনি চিড়ে যাচ্ছে গুজরাটে। এভাবেই এক জায়গার বিখ্যাত খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে। করোনা পরিস্থিতি এভাবেই মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে একাধিক রাজ্যের খাদ্য সমূহের।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে পারসেল ভ্যানে মাছ যাচ্ছে বিহারের ভাগলপুরে। রাজ্য ও অন্ধ্র থেকে মূলত মাছ পড়ি দিচ্ছে দেশের নানা জায়গায়। বিহারের ভাগলপুরে মাছের চাহিদা রয়েছে। সেখানে রয়েছে বাঙালিটোলা। শরৎচন্দ্র, বনফুলের মতো সাহিত্যিকদের বাস ছিল এক সময়ে। ফলে সেখানকার বাঙালিদের মাছের প্রতি আগ্রহ থাকবে না, তা হতে পারে না। মাছ চাই। তাই যোগান চলছে মাছের। ভাগলপুরের বিখ্যাত ঘি আসছে বাংলায়। সম্প্রতি ভাগলপুর থেকে দেড় কুইন্টাল ঘি আসে বাংলায়। ব্যবসায়ীদের কথায়, শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে চাইছেন মানুষজন। তাই রেলের মাধ্যমে এই আদানপ্রদান চলছে।
গুজরাটের প্রসিদ্ধ পোহা তৈরি করতে লাগে ভাগলপুরের কাটারনি চিরে। যা উৎপন্ন হয় ভাগলপুরের জগদিশপুরে। মূলত সুরাট যাচ্ছে এই চিড়ে। এলাকার জলবায়ু এই ধান উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। বিহারের এনার্জি ড্রিঙ্ক বলে পরিচিত ছাতু যাচ্ছে গুজরাটে। গুজরাটের ব্যবসায়ীদের মতে, ভাগলপুরের কতারনি চিড়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সাধারণ চিরের চেয়ে বেশি সুপাচ্য। পাচনক্রিয়া ইহিক রাখায় চাহিদা বেশি। ছাতু বায়ু নিয়ন্ত্রণ থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। লকডাউন পরিস্থিতিতে খাদ্য সামগ্রীর অতিরিক্ত চাহিদা। করোনা আতঙ্কে মানুষজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন যুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাই চাহিদা বাড়ছে নানা স্থানে উৎপাদিত সামগ্রীর প্রতি। যার যোগান যাচ্ছে রেলের মালগাড়ি ও পার্সেল ভ্যানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.