অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: করোনা (Corona Virus) জয় করে শুক্রবার সকালে বাড়ি ফিরে এসেছে মেয়ে। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে কাছে পেতেই আনন্দে আত্মহারা মা শুরু করলেন নাচ। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সেই নাচের ভিডিও। খুশির আমেজ পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায়।
সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ মৌপিয়া মাহান্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ১৯ জুলাই তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর শহরের আয়ূষ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দীর্ঘ ১২ দিন সেখানে থাকার পর শুক্রবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই তরুণী। বেলদা থানার নন্দ মার্কেট এলাকায় বাড়ির সামনে স্বাস্থ্যদপ্তরের গাড়ি থেকে নামার পর পরিবারের সদস্যরা মৌপিয়াকে চকলেটের মালা পরিয়ে দেন। এরপর ফুল ছিটিয়ে তাঁকে বরণ করা হয়। মেয়েকে কাছে পেয়েই স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেত্রী মা মঞ্জুদেবী তাঁর হাত ধরে শুরু করেন নাচ। করোনা জয়ী মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চোখের জলে ভাসেন ওই বধূ। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
তবে মেয়ে একা নয়। মেয়ের আগে মা, মঞ্জুদেবীও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৫ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জুলাই। মা ও মেয়ে দুজনই উপসর্গহীন ছিলেন। মঞ্জুদেবী জানিয়েছেন, তাঁদের এক পরিচিতের প্রথমে করোনা ধরা পড়ে। তারপর তিনি ও পরিবারের সকলে করোনা পরীক্ষা করান। তখন তাঁদের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। পরবর্তীকালে মেজ মেয়ে মৌপিয়ার ধরা পড়ে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর আনন্দে আত্মহারা মৌপিয়া জানালেন, “আমি মোটামুটি ভাল আছি। অযথা করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন ও সাহস দিয়েছেন তাঁদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর সবাইকে অনুরোধ করছি সাবধানে থাকবেন। বাইরে বেরোনোর সময় মুখে মাস্ক পরবেন। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।”
অপরদিকে মঞ্জুদেবী জানিয়েছেন, “১৮ বছর হয়ে গিয়েছে মেয়ের। একবার বেঙ্গালুরুতে যোগা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময়টুকু ছাড়া আর কোনও দিন ও আমাদের ছাড়া বাইরে থাকেনি। এমনকী আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খুব বেশি হলে এক থেকে দুই দিন আমাদের ছেড়ে থেকেছে। কিন্তু টানা ১২ দিন আমাদের ছেড়ে থাকা তাও আবার হাসপাতালে এরকম কোনওদিনই হয় নি। তাই মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে নেচে ফেলেছি।”
দেখুন:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.