শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: মেয়র তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যর পর শিলিগুড়িতে করোনা আক্রান্ত হলেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা। আজই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মাটিগাড়ার COVID হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে তিনি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোয়াব টেস্টের পরও ঘরে না থেকে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে, জনগণের সঙ্গে মিশেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সরব সবমহল।
বুধবার শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর শিলিগুড়ি পুরনিগম রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁর সুভাষপল্লির বাড়ির চারপাশ স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বন্ধ হিলকার্ট রোডের পার্টি অফিসও। সোয়াব টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পুরনিগমের আরও ২৮ জন কর্মীর। জানা গিয়েছে, আপাতত অশোক ভট্টাচার্যর অবস্থা স্থিতিশীল।
তবে তার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছেন শিলিগুড়ি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা। সোয়াব টেস্টের পর সাধারণত গৃহবন্দি থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, বাইরে বেরনোর অনুমতি মেলে। বুধবার রাজু সাহার সোয়াব টেস্ট হয়েছে। তবে তিনি তারপরও দুটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্য দলীয় কর্মীর সঙ্গে সেখানে হাজির ছিলেন রাজু সাহাও। পরে সন্ধেবেলা চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি।
এছাড়া দিন কয়েক আগে পর্যন্তও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তের সঙ্গে ঘোরাফেরা করেছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। ফলে তাঁরাও করোনায় আক্রান্ত কি না, তা নিয়ে ঘোরতর সংশয় তৈরি হয়েছে। সাংসদ-সহ সকলেরই পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সোয়াব টেস্টের পরও এভাবে ঘুরে বেড়িয়ে করোনা সচেতনতায় অত্যন্ত হেলাফেলা করেছেন রাজু সাহা, এমনই অভিযোগ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের। তৃণমূল জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের কথায়, ”চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন উনি। অপদার্থ নেতা সব। সহ-সভাপতিকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেভাবে মিশেছেন, তাতে নিজে দায়িত্ব নিয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। এই সময়েও ওঁদের রাজনীতি করতে হচ্ছে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.