নন্দিতা রায়: লকডাউনের প্রথম দফার শেষদিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় পর্বের ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়ে দেন, ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে লকডাউন। আর এবার যাতে করোনা রোধে লকডাউনের সমস্ত নির্দেশিকা পালিত হয়, তাও বিশেষভাবে নজর রাখবে কেন্দ্র। দেশজুড়ে চিহ্নিত করা হবে হটস্পট বলেও জানায় মোদি সরকার। আর বুধবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে হটস্পটের তালিকা প্রকাশ করা হল। যে তালিকায় রয়েছে বাংলার চার জেলা। সেই সঙ্গে ক্লাস্টার এলাকার মধ্যে রাখা হয়েছে আরও সাতটি জেলাকে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, দেশে মোট ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট তিনটি ভাগে সেই হটস্পট এলাকাগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। সেই হিসেবেই চলবে নজরদারি। এরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকা হাতে পাওয়ার পর জানা যায়, কলকাতা-সহ রাজ্যের চারটি জেলাকে হটস্পটের আওতায় রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। অর্থাৎ এই চার জেলায় কোভিড পজিটিভের সংখ্যা বেশি। এর পাশাপাশি যে সাতটি জেলাকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা।
দিন কয়েক আগেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের হটস্পট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যাতে তিনি জানান, হটস্পট বলে কিছু নেই। বরং যে সমস্ত এলাকায় ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বেশি সেগুলিকে মাইক্রো প্ল্যানিংয়ের আওতায় ফেলা হচ্ছে। সেভাবেই ওই এলাকাগুলিকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করা হবে।
তবে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যবাসীর। তাদের তরফে বলা হয়েছিল, লাল-কমলা-সবুজ- এই তিন ভাগে হটস্পট জোনে কাজ হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে ২৮ দিন। ২৮ দিনে যদি কেউ ওই এলাকায় নতুন করে সংক্রমিত না হন, তাহলেই তা হটস্পটের আওতা থেকে বেরতে পারবে। তবে ‘হটস্পট’ জেলা হিসেবে কলকাতা-সহ চারটি জায়গা চিহ্নিত হওয়ায় চারটি জেলার জন্য কী ব্যবস্থা করা হবে, কোন কোন এলাকার উপর বেশি কড়াকড়ি হবে, সে সব অবশ্য বিস্তারিত জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.