শঙ্কর রায়, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের বিজেপির কর্মসূচিতে অশান্তি। রায়গঞ্জে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি প্রহরা ছিল। অশান্তির আশঙ্কায় বিজেপি সাংসদকে আটকানো হয়। তারপরও ব্যারিকডে ভেঙে গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাদানুবাদ চলে। প্রকাশ্যে বিজেপি নেত্রীকে পুলিশকে শাসাতে দেখা যায়। শেষপর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিয়ে ফিরে আসেন রূপা।
দুই আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। করণঘিরির রসাখোয়ার দুই মহিলা জেলা সদরে এসে লাঞ্ছিতা হয়েছিলেন। এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত সপ্তাহে রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছিল রায়গঞ্জ। এর পাল্টা কর্মসূচি ঘিরেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে রসাখোয়ায় যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে রসাখোয়ার মহেশপুর গ্রামে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন এই বিজেপি সাংসদ। রায়গঞ্জে শিলিগুড়ি মোড়ে রূপা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এরপর পুলিশের নজর এড়িয়ে সহযোগীদের নিয়ে ওই গ্রামের দিকে এগোতে থাকেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রামে ঢোকার মুখে তিনি আর এক প্রস্থ বাধার মুখে পড়েন। পুলিশ বাধা দিলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ধাক্কাধাক্কিতে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে একটি রিক্সভ্যানের ওপর বসে পড়েন রূপা। বিজেপি কর্মীরা নেত্রীর শুশ্রূষা করেন। সম্বিত ফিরতেই তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে তোপ দাগেন। রূপা বলেন, মুখে কালো কাপড় বেঁধে তৃণমূল কর্মীরা সিভিক পুলিশ সেজে বাধা দেয়। নিগ্রহ করা হয়। পুলিশকে কার্যত দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন রূপা। তিনি বলেন, সমস্ত পুলিশের ছবি তোলা আছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তখন এই সমস্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে বিজেপি নেত্রী গ্রামে এলাকায় ফের অশান্তি হতে পারে। তার জন্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটকানো হয়। পুলিশের বক্তব্য বিজেপি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রায় সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.