Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাশকতার আশঙ্কা, পলাতক জামাত জঙ্গি মিন্টু খানের সন্ধান পেতে মরিয়া পুলিশ

নাশকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন গোয়েন্দারা।

Cops in search of notorious JMB terrorist Mintu Khan

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 20, 2020 9:16 am
  • Updated:January 20, 2020 9:16 am  

অর্ণব আইচ: কখনও সে আপেল বাগানের শ্রমিক। আবার কখনও দক্ষিণ ভারতের মিস্ত্রি। সুযোগ পেলেই চেহারার ভোল পালটে ফেলা। কিন্তু এই আপাতনিরীহ মানুষটিই যে ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান মডিউলের এক মাথা। জঙ্গিদের ইটাহার মডিউল তৈরির সময়ও হাত ছিল তার। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে এই জঙ্গি নেতা মিন্টু খানের সন্ধানেই গোয়েন্দারা। বোমা ও বিস্ফোরক তৈরিতে বিশেষজ্ঞ এই জেএমবি জঙ্গি নেতা মিন্টুর কার্যকলাপের উপরই গোয়েন্দারা নজর রাখার চেষ্টা করছেন।

গোয়েন্দাদের মতে, বেপাত্তা হয়ে যাওয়া এই জঙ্গি নেতা মিন্টুর সন্ধান পেলে ধরা পড়তে পারে জেএমবির আন্তর্জাতিক নেতা সালাউদ্দিন সালেহিনও। সালাউদ্দিনের আরও এক সঙ্গী বড় আবদুল করিমকে ধরতে গেলেও মিন্টু খানকে ধরার প্রয়োজন রয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। আবার তহবিল জোগাড় করার জন্য তারা নতুন করে কোনও অপরাধ সংগঠিত করতে পারে, গোয়েন্দারা এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিন্টু নামে এই জঙ্গি নেতা জেএমবি নেতা বোমারু মিজান ওরফে কওসরের সঙ্গী নামেই পরিচিত ছিল। বোমারু মিজান ধরা পড়ার পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের সময়ও মিন্টু উপস্থিত ছিল ওই অঞ্চলে। বোমারু মিজানের কাছ থেকে সে বিস্ফোরক তৈরি করার প্রশিক্ষণও নেয়। ২০১৪ সালে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হওয়ার আগে সে হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরিতে মিজানকে সাহায্য করেছিল, এমন খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

[আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির জন্য ডাক পড়ল জহ্লাদের, পবনকে চাইল তিহার কর্তৃপক্ষ]

প্রথমে গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল যে, সে বাংলাদেশি। যদিও পরবর্তীকালে গোয়েন্দাদের অভিমত, মিন্টু বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে বেঙ্গালুরুতে বোমারু মিজান তার সঙ্গী মিন্টু, করিমদের নিয়ে বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল নেতা সালাউদ্দিন সালেহিনও। সেখানেই কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে মিন্টুর সামনেই মিজানের গোলমালও হয়। যদিও গোয়েন্দাদের কাছে খবর, বোমারু মিজান ধরা পড়ার পর মিন্টুর সঙ্গে ফের সালাউদ্দিনের যোগাযোগ হয়।

জেএমবি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান মডিউল তৈরির সময়ও মিজানের সঙ্গী ছিল মিন্টু। জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগের পদ্ধতিও তার বিলকুল জানা। ফলে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, সালাউদ্দিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নতুন করে জেএমবি ফের কোনও নতুন মডিউলের কাজে হাত দিয়েছে কি না। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি নেতারা ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, এমন সম্ভাবনাও রয়ে গিয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে মিন্টু ও তার জেএমবির সঙ্গীরা নতুনভাবে কোনও নাশকতার ছক কষছে কি না, সেদিকে নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement