ফাইল ছবি।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আর মাত্র একটি দিনের অপেক্ষা৷ তবে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগে থেকেই বদলি ভীতিতে তটস্থ পুরুলিয়া জেলার পুলিশ, প্রশাসনিক কর্তারা৷ পুরুলিয়ার ওসি,আইসি থেকে বিডিও কাঁটা হয়ে রয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের পরবর্তী পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হবে না তো?
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় শাসকদল তৃণমূলের ফল আশানুরূপ না হওয়ায় শাস্তির কোপে পড়েছিলেন বিডিও,ওসি-সহ থানার মেজবাবু–ছোটবাবুদেরও। তাই এবার ফল ঘোষণার আগে থেকেই যেন এখানকার আমলাদের বদলির খাঁড়া ঝুলতে শুরু করেছে। ক্যানিং না কোচবিহার? নাকি কাকদ্বীপ বা কালিম্পং? পুরুলিয়া থেকে কোথায় বদলি হবে? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন ভাবাচ্ছে জেলার প্রশাসনিক কর্মী থেকে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের।
তাই শুধু রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরাই নন, লোকসভার ফলাফলের আঁচ পেতে প্রশাসনের আধিকারিকরাও নিজেদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগাচ্ছেন৷ একেবারে বুথ ভিত্তিক খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। আসলে পুরুলিয়া কেন্দ্রের সামগ্রিক ফল কী হবে, এক্সিট পোলে আগেই তার আভাস পেয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতা। এবার নিজেদের মেকানিজম ব্যবহার করে নিজের এলাকায় ফল কেমন হতে পারে, তার বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। বদলি ঠেকাতে ভোট পরবর্তী এ এক মরিয়া চেষ্টা আমলাদের। আর এই আতঙ্কে তাঁদের রাতের ঘুমও উড়েছে৷
২০১৮র পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলার যেসব ব্লক, থানা এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছিল, সেই এলাকার প্রশাসনের খোলনলচেই বদলে দেওয়া হয়েছিল। লাইন দিয়ে আসছিল বদলির চিঠি৷ তা নিয়ে কম সমালোচনাও শুনতে হয়নি শাসকদলকে। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পর থেকে টানা দু’মাস বদলি প্রক্রিয়া জারি ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সেই পুনরাবৃ্ত্তি যে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরও হবে, তা বেশ বুঝে গিয়েছে ব্লক থেকে থানা। তাই ভোট গণনার চূড়ান্ত প্রস্তুতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিডিও,ওসি,আইসিদের অঙ্ক কষা চলছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তা একান্ত আলাপচারিতায় বলছিলেন, ‘ফলাফলের তিন,চার দিন পর থেকেই বদলি শুরু হয়ে যাবে। ভোটের আগে কমিশন বদলি করল। আর এবার ভোটের ফলাফলের নিরিখে কুর্সি বদল হবে।’ ফলে রঘুনাথপুর থেকে ঝালদা, বোরো থেকে কাশীপুর – বদলির আশঙ্কায় ত্রস্ত এই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.