সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: জমি দখলকে কেন্দ্র করে ওসিকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটল উলুবেড়িয়ায়। এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন স্থানীয় শ্যামপুর থানার ওসি সুমন দাস। মাথায় শাবল ও পেটে ছুরির আঘাত লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন ওসি। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত মোতিয়ার মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মারধরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর থানা বারগ্রাম মুন্সিবেড় এলাকায়।
রাতেই হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার গৌরব শর্মার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত মোতিয়ার মুন্সি। পুলিশি আনাগোনায় বাড়িঘর ছেড়ে বেপাত্তা গ্রামের পুরুষরা। উত্তেজনা থাকায় নামানো হয়েছে ব়্যাফ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ডি পি সিংহ।
জানা গিয়েছে, মাসছয়েক আগে জমি দখলকে কেন্দ্র করে মুন্সিবেড়ের দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের উপরে চড়াও হয়েছিল বিবাদমান দুই পরিবারের একপক্ষ। সেই পক্ষের তরফে পুলিশকে মারধরে নেতৃত্ব দেন মোতিয়ার মুন্সি। যিনি পেশায় উলুবেড়িয়া আদালতের আইনজীবী। এই ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তারমধ্যে মোতিয়ার মুন্সিও ছিলেন। গতকাল রাতে পলাতকদের প্রত্যেকেই ফের গ্রামে ফিরে আসে। খবর পেয়ে রাত ১২ টার পর মুন্সিবেড়ে পুলিশ হানা দেয়। এদিকে পুলিশ আসবে অনুমান করে এক প্রকার তৈরিই ছিল মোতিয়ারের লোকজন। ওসি সুমন দাস গ্রামে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো দলটি পুলিশের উপরে চড়াও হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে আগে থেকেই মজুত করে রাখা ইট, পাথর ছোড়া শুরু হয়। পুলিশকর্মীদের বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে হামলাকারীরা। সেই সময়ই শাবল দিয়ে ওসির মাথায় আঘাত করা হয়। ছুরি চালিয়ে দেওয়া হয় পেটে। কোনওরকমে হামলা সামলে রক্তাক্ত ওসিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশকর্মীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এক নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন ওসি সুমন দাস। এই হামলায় আরও একজন এসআই-সহ সবমিলিয়ে জনা দশেক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.