সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: একটি মৃত্যু আর তাকে কেন্দ্র করেই একাধিক প্রশ্নের ভিড়৷ হাসপাতালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন এক পুলিশকর্মী৷ কী কারণে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, পুলিশকর্মীর আত্মহত্যার পর এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি চাকরি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় এহেন কাণ্ড ঘটালেন নির্মল এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে পুলিশ৷
নিহত নির্মল কুমার দাস, বছর চব্বিশের ওই পুলিশকর্মী৷ তিনি দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকার ফার্স্ট ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন৷ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাড়ি হলেও কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন তিনি৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন নির্মল৷ স্থানীয় চিকিৎসকের কাছেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি৷ তাতেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেনি৷ মঙ্গলবার জ্বর বাড়তে শুরু করে৷ ওই চিকিৎসকের পরামর্শেই তাঁকে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়৷ রাতভর চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন নির্মল৷ বুধবার সকালে এক রোগী শৌচালয়ে গিয়ে অবাক হয়ে যান৷ তাঁরা দেখেন, শৌচালয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন নির্মল৷ তাঁর চিৎকারে নার্সিংহোমের অন্যান্য কর্মীরা জড়ো হয়ে যান৷ চিকিৎসকরাও ঘটনাস্থলে যান৷ নির্মলকে মৃত বলে জানান তাঁরা৷
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মলের দেহ উদ্ধার করেন৷ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ওই পুলিশকর্মীর দেহ৷ কেন আত্মহত্যা করলেন নির্মল, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা৷ নিহত পুলিশকর্মীর পরিজন এবং সহকর্মীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছে পুলিশ৷ মাত্র বছর চব্বিশের যুবকের কী কারণে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছিল, তাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ কারও সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি চাকরি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন নির্মল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.