নন্দন দত্ত, সিউড়ি: খিদে পেয়েছিল খুদে পড়ুয়ার। তাই স্কুলের রান্নাঘরে উঁকি মেরে দেখতে গিয়েছিল সে। এই অপরাধে তাকে গরম ফ্যান ভরতি বালতিতে ফেলে দিল রাঁধুনিরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মিড-ডে মিল কর্মীদের বিরুদ্ধে। গরম ফ্যানে পড়ে যাওয়ায় শিশুটির শরীরের নিম্নাংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি শিশুটিকে রামপুরহাট সুপার স্প্যেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে পড়ুয়াকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মল্লারপুর থানার কানাচি দু’নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ আসমাউল (৬)। প্রতিদিনের মতো এদিনও সে স্কুলে যায়। এদিকে দুপুর হয়ে গেলেও মিড-ডে মিলের কর্মীরা খাবার খেতে ডাকছে না। খিদের জ্বালায় স্কুলের রান্নাঘরে উঁকি দিয়েছিল আসমাউল। অভিযোগ, এই অপরাধে আসমাউলকে গরম ফ্যান ভরতি বালতিতে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির দুই রাঁধুনির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি ডেজি বিবি ও পিয়ারি বিবি। তাঁদের দাবি, বাচ্চারা হুড়োহুড়ি করছিল। সেই সময় দুর্ঘটনাবশত ফ্যান ভরতি বালতিতে পড়ে যায় আসমাউল। তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রামপুরহাট সুপার স্প্যেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আক্রান্ত শিশুর পরিজনরা জানিয়েছেন, আসমাউলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের নিম্নাংশ পুড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় পড়ুয়ার কাকা সাদেকুল ইসলাম ওই দুই রাঁধুনির বিরুদ্ধে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌভিক মণ্ডল বলেন, ‘সমস্ত ঘটনা আমরা স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি। তিনিই যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেবেন।’ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষ বলেন, ‘আগে শিশুটির সুস্থ হয়ে ওঠা প্রয়োজন। তারপর আমি স্কুল পরিদর্শককে একটি রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.