বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম কুদ্দুস আহমেদ (৩৩)৷ ঘটনাটি ঘটেছে, কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের ঢাংঢিংগুড়ি এলাকায়৷ তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঢাংঢিংগুড়ি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী কুদ্দুস আহমেদ৷ অভিযোগ, এদিন রাতে গোপালপুর এলাকার কাছে একদল দুষ্কৃতী কুদ্দসের পথ আটকায়৷ কিছু বোঝার আগেই কুদ্দসকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে একদল যুবক৷ একটি গুলি তৃণমূল কর্মীর মোবাইলে লাগে৷ অন্য একটি গুলি কুদ্দসের বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়৷ গুলির শব্দ পেয়ে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা৷ স্থানীয়দের দেখে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ পরে, স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তৃণমূল কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করান৷ কিন্তু, চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর৷ এদিনের এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷
[কর্মজীবনের শেষ দিনে লোকশিল্পীদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন সরকারি কর্মী]
মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, বিজেপির ডাকা বনধ রুখতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন কুদ্দুস আহমেদ৷ এই নিয়ে ঢাংঢিংগুড়ি বাজারে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ ওই ঘটনার জেরেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কুদ্দুসকে গুলি করে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার৷ তৃণমূল কর্মীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে৷ কর্মী মৃত্যুর প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতা করায় কুদ্দুসকে গুলি করে খুন করা হয়েছে৷ এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.