বিক্রম রায়, কোচবিহার: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পই যেন রাজ্য সরকারের মাস্টারস্ট্রোক। এই আর্থিক প্রকল্পে উপকৃত রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা। আর তা নিয়ে বিরোধী শিবিরের অসন্তোষের শেষ নেই। মাঝে মাঝে শাসক-বিরোধী তরজার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে সরকারি এই প্রকল্প। একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় এই প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল নেতার মন্তব্যে দানা বাঁধল বিতর্ক। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও বিজেপিকে ভোট দিলে, প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে কোচবিহারের দিনহাটার তৃণমূল নেতা।
দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ্য সরকারের সমস্ত সুবিধা পাওয়ার পরেও যে জায়গায় লোকে তৃণমূলকে ভোট দেয়নি সেখানে কিছু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অন্তত আমাদের কেটে দেওয়া দরকার। এটা বোঝানোর দরকার আছে, এই টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন, রাজ্য সরকার দিচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার দিচ্ছে। এটা নরেন্দ্র মোদির বাবার টাকা নয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের টাকা। সেই টাকাটা আপনাদের দিচ্ছি এটা বুঝিয়ে দিতে হবে।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে জোর সমালোচনায় সরব বিজেপি। কোচবিহার জেলা বিজেপির সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক বা যে কোন প্রকল্পই হোক বা অন্য কোনও প্রকল্প, সবই চলে করদাতার টাকায়। এটা তৃণমূলের পৈতৃক টাকা নয়। করের টাকায় প্রকল্প চালিয়ে ভোট চাইতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। উলটে তারা আবার বৈষম্য করার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল যা করছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।” এত সমালোচনা নিয়ে অবশ্য তৃণমূল নেতার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.