বিক্রম রায়, কোচবিহার: সবরীমালা কাণ্ডে যখন উত্তাল গোটা দেশ সেই পরিস্থিতিতেই স্রোতের উলটো দিকে হাঁটল কোচবিহারের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড। রাজ পরিবারের কূল দেবতার মদনমোহন মন্দিরের সচিব পদে নিযুক্ত হলেন এক মহিলা আধিকারিক। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের ইতিহাসে প্রথম এই ঘটনা। পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তে খুশি সকলেই।
১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কোচবিহারের রাজ পরিবারের কূলদেবতা মদনমোহনের মন্দির। সূচনার সময় থেকেই মন্দিরের দায়িত্বে ছিলেন রাজারা। রাজ আমল সমাপ্ত হওয়ার পর মন্দিরটি রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ড। বুধবার সকালে দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ড পরিচালিত সেই মদনমোহন মন্দিরের সচিবের দায়িত্ব নিলেন এক মহিলা। নতুন মহিলা সচিবের নাম সুপর্ণা বিশ্বাস। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের সময় সেখানে উপস্থিতি ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা, সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সচিব পদের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুপর্ণা বিশ্বাস। তিনি বলেন, এমন পদের দায়িত্বভার পেয়ে বেশ ভাল লাগছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বিগত দিনে যেভাবে মন্দিরের কাজ এগিয়েছে, সেই পথেই হাঁটবেন সুপর্ণাও। তিনিও একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন মন্দিরের উন্নয়নের কাজ। এরকম মূহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পুরুষদের পাশাপাশি সবকাজেই এগিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। তা সত্ত্বেও কিছু জায়গায় ব্রাত্যই ছিলেন মহিলারা। তবে মদনমোহন মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি তিনি। তার কথায় ইতিহাস গড়ল মদনমোহন মন্দির।
স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত কোচবিহারের এই মন্দিরটি। উত্তরবঙ্গ সফরে পর্যটকরা প্রায়শই ভিড় জমান ওই মন্দিরে। জাগ্রত বলে পরিচিত বলে ওই মন্দিরের পরিচালন সমিতির সচিব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ডের সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয়রাও।
[উরস থেকে ফেরার পথে গেদে স্টেশনে মিশল দুই বাংলার মন]
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.