বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অভিযোগ ওঠে যথেষ্টই। কখনও পরিষেবা ঠিকমতো না পাওয়ার অভিযোগ আবার কখনও চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তবে এবার খোদ জেলার স্বাস্থ্যকর্তাই কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। বন্ডে সই করে হাসপাতালে ছেড়ে অসুস্থ অবস্থায় অন্য নার্সিংহোমে ভরতি হলেন তিনি।
গত ১ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের ডেপুটি সিএমওএইচ ওয়ান ডঃ বিশ্বজিৎ রায়ের হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ওইদিনই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি হন। সিসিইউতে রাখা হয় তাঁকে। অভিযোগ, ওই হাসপাতালের সিসিইউ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়। কোনওক্রমে একটি পাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তিনদিন হাসপাতালে ভরতি থাকলেও, তাঁর কোনও চিকিৎসাই হয়নি বলেও অভিযোগ। স্বাস্থ্যকর্তা অনুমান করেন, তাঁর ডেঙ্গু হয়েছে। সেই অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠান। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসার পর জানতে পারেন সত্যিই তাঁর ডেঙ্গু হয়েছে। প্লেটলেটও ৪৬ হাজারের কাছাকাছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেকথা জানান তিনি। তবে তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। সিএমওএইচ তাঁকে দেখতে আসার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ।
এরপর বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়ে ওই হাসপাতালের বন্ডে সই করে বেরিয়ে আসেন তিনি। ভরতি হন এলাকারই একটি অন্য বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। স্বাস্থ্যকর্তা কিছুটা সুস্থ রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের একটি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে স্বাস্থ্যদপ্তর। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার সঙ্গে লড়াই করেছেন এই স্বাস্থ্যকর্তা। তা সত্ত্বেও বিপদের সময় তাঁরই এমন দুর্ভোগের কথা সামনে আসায় বিরক্ত প্রায় সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.