মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সাংসদ শতাব্দী রায়ের পর পরিযায়ী প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন হাওড়ার পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশান মল্লিক। বললেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের কি আমিনিয়া থেকে বিরিয়ানি এনে খাওয়াতে হবে?” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কয়েকদিন আগেই পাঁচলায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রশাসন খাওয়া, থাকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে না। এ প্রসঙ্গে গুলশান বলেন, “আমরা শ্রমিকদের যথাসাধ্য খাবার-সহ নানা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সকালে টিফিন, ভাতের সঙ্গে দুপুরে কখনও ডাল-সবজি তো কখনও ডিম-মাছ দিচ্ছি। সন্ধেয় মুড়ির সঙ্গে চপ-বেগুনি। রাতে ভাতের সঙ্গে সবজি। আর কী দেব ? আমরা কি ওদের জন্য আমিনিয়া থেকে বিরিয়ানি আনব? আমরা যা দিচ্ছি তা যদি কারও ভাল না লাগে, তাহলে তাঁদের বাড়ির লোক খাবার দিয়ে যেতে পারে।” বিজেপিকে তোপ দেগে পাঁচলার বিধায়ক এদিন বলেন, “বিজেপির উষ্কানিতে লোকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিজেপি কঠিন সময়ে প্রশাসনের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু রাজনীতি করে চলেছে। মানুষ দেখছে তৃণমূল কীভাবে তাঁদের পাশে রয়েছে। আমার নিজের ছেলেরা ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। মানুষ বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির জবাব সময়ে দিয়ে দেবে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে তোপ দেগে মন্ত্রী নির্মল মাজি বলেন, “এই সংকটকালে বিজেপি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন জায়গায় ইচ্ছে করে গণ্ডগোল করছে। মানুষ সচেতন বলে তা রুখে দিচ্ছেন।” নির্মল মাজি ছাড়াও বিধায়ক পুলক রায়, সমীর পাঁজা, অরুণাভ সেন, ইদ্রিশ আলি, আবদুল গনি, আমতা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করোনা পরিস্থিতি, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যাদের বাড়ি, কৃষি, মাছ-সহ নানা সম্পদ নষ্ট হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছে। আগামী দিনেও দাঁড়াবে। মানুষ বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করবেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.