Advertisement
Advertisement
হলদিয়া কাণ্ড

হলদিয়া কাণ্ডে ধৃত সাদ্দাম শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ, ছবি প্রকাশ করে দাবি দিলীপের

হলদিয়া কাণ্ডের রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া বিজেপি।

Controversy started over Dilip Ghosh's comment on Haldia double murder case
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 25, 2020 2:10 pm
  • Updated:February 25, 2020 2:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদিয়া জোড়া খুনের ঘটনার নাম জড়াল শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের কথায়, খুনে অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম তৃণমূলের সক্রিয় নেতা ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁদের দু’জনের একসঙ্গে একাধিক ছবি রয়েছে। এতেই জোর জল্পনা শুর রাজনৈতিক মহলে। 

দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর সোমবার হলদিয়া কাণ্ডের রহস্যভেদ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম ও শেখ মনজুরকে। তাদের হেফাজতে নেওয়ার পরই তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, মৃত রিয়ার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বিবাহিত সাদ্দামের। বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য সাদ্দামকে চাপ দিচ্ছিল রিয়া ও রমা দেবী। ২০ লক্ষ টাকাও দাবি করেছিল তাঁরা। টাকা না পেলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই খুনের ছক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের যোগাযোগ রয়েছে, কার্যত এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

haldia-death

সাংসদ দিলীপ ঘোষ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেন যে, ‘‘হলদিয়া হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাদ্দাম রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ডান হাত।’’ তিনি জানান যে, ধৃত সাদ্দাম ‘আই সাপোর্ট টিএমসি’ নামে গ্রুপও চালাত। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তার একাধিক ছবি রয়েছে। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, ভোট লুট করতে গিয়ে একাধিকবার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পরিবহণ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সহজেই পুলিশ ছেড়ে দেয়।

saddam-2

তৃণমূল কর্মীর এহেন কীর্তিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। হায়দরাবাদ কাণ্ডের সঙ্গে ঘটনার তুলনা করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও। যদিও খুনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কোনও যোগ নেই। দলকে কালিমালিপ্ত করতেই বিরোধীরা এহেন অভিযোগ তুলছে বিজেপি, দাবি শিশির অধিকারীর। সবমিলিয়ে হলদিয়া কাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রসঙ্গত, মৃত রিয়া ও রমাদেবী নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক যুবকের সঙ্গে ভাব জমাতেন। ঘনিষ্ঠও হতেন। অভিযোগ, এরপরই টাকার জন্য তাঁদের চাপ দিতেন ওই মা-মেয়ে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল সাদ্দামের সঙ্গে। কিন্তু এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও যোগসূত্র কি না তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ল্যাংচার দাম মেটানোর সময় সম্মোহন! বিদেশিদের কারসাজিতে প্রতারিত ব্যবসায়ীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement