জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভোটের দামাদা বেজে গিয়েছে। একুশকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। থেমে নেই বিজেপিও। দিনকয়েক আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই যোগদান অধিকাংশকেই বাড়তি অক্সিজেন দিলেও বিরূপ প্রভাবও ফেলেছে। তার প্রমাণ মিলল গাইঘাটায়।
রাজ্যজুড়ে যোগদান কর্মসূচি করছে বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় এই যোগদান কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সমস্ত আয়োজন সারা, মঞ্চও প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে মঞ্চের চারপাশে নজরে পড়ে বেশ কিছু পোস্টার। যার কোনওটিতে লেখা, “আমরা কোন বিজেপি?”, কোথাও আবার, “যাদের কে আমরা চোর বলেছিলাম তাঁরা বিজেপির সম্পদ।”, “আম্ফানের টাকা মেরেছে যুবনেতা”, কোথাও “দুর্নীতিগ্রস্ত মণ্ডল সভাপতি দূর হাটো!”, এই সমস্ত পোস্টারের নিচে লেখা, আদি বিজেপি। এই পোস্টারেই প্রকাশিত বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। প্রাক্তন তৃণমূল নেতাদের যোগদান যে বিজেপির একাংশ মোটেও ভালভাবে নেয়নি, তা কার্যত স্পষ্ট। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গাইঘাটা বাজারে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার যোগদানের কথা। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। দুপুরে বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা এই মঞ্চে বিজেপিতে যোগদান করার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার বিজেপির যোগদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুর্গাপুর (Durgapur)। রীতিমতো ভাঙচুর চলে মঞ্চে। হাতাহাতিও হয়। সেই ঘটনার জন্য প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) কর্মীদেরই কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.