Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘যজ্ঞের বেদির ছক থেকেই আবিষ্কার হয়েছে জ্যামিতির’, মন্তব্য বিজেপি সাংসদের

প্রাচীন মুনি-ঋষিরাই প্রকৃত বিজ্ঞানী, দাবি জগন্নাথ সরকারের।

Controversy started over BJP MP Jagannath Sarkar's comment
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 25, 2020 8:49 am
  • Updated:June 25, 2020 3:22 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভারতবর্ষের মুনি-ঋষিরাই ছিলেন প্রকৃত বিজ্ঞানী। যজ্ঞের বেদি স্থলে আঁকা ছক থেকেই আবিষ্কার হয়েছে জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির, এমনটাই দাবি নদিয়ার রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar)। তাঁর কথায়, “এখন অনেক বিজ্ঞানীকেই ডক্টরেট, ডিএসসি উপাধি দেওয়া হয়, কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা প্রকৃত বৈজ্ঞানিক। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও পুরনো রীতি-নীতি নিয়ে চর্চা হচ্ছে l তাই প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দেখানো পথেই চলা উচিত।”

করোনা (CoronaVirus) আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের পরামর্শ নিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা নদিয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে গঙ্গার পাড়ে আয়োজন করেছিলেন বিরাট যজ্ঞের। সম্পূর্ণ বৈদিক মন্ত্র উচ্চারনের মধ্য দিয়ে সেখানে যজ্ঞ করা হয়। আহুতি দেন জগন্নাথ সরকার স্বয়ংl যজ্ঞস্থলে হাজির ছিলেন একাধিক বিজেপি কর্মী -সমর্থক। এই ঘটনাতেই উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন, তবে কী সাংসদ জগন্নাথ সরকারও কুসংস্কারচ্ছন্ন? 

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে বেতন পাননি চটকল শ্রমিকরা, রাজ্যকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাই কোর্টের]

কিন্তু সেই অভিযোগে বিন্দুমাত্রও কান দিতে রাজি নন সাংসদl যজ্ঞ প্রসঙ্গে তার যুক্তি, “মুনি-ঋষিরা আদতে বিজ্ঞানভিত্তিকই সবকিছু করতেন। যজ্ঞ করার আগে বেদি স্থলে আঁকা ছকই থেকেই পরবর্তীকালে জ্যামিতি এবং ত্রিকোনামিতির জন্ম। এটা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়, কুসংস্কার নয়।” জগন্নাথবাবুর কথায়, “যজ্ঞের মাধ্যমে নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন কংগ্রেস, সিপিএম, সকলেই করেন। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনার জন্য এই যজ্ঞের অনুষ্ঠান। চিনা সৈনিকদের হাতে ভারতের কুড়িজন জওয়ানের শহীদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যেও এই যজ্ঞের আয়োজন।”

ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির পরম্পরামূলক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি কোনও অপরাধ করেননি বলেই সাফ জানিয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পালটা বিধেঁছেন সমালোচকদের। বলেন, “অল্পবিদ্যায় ভয়ংকরী হয়ে যারা এটাকে ভ্রান্তচিন্তা বলে সমালোচনা করছেন, তাঁরা অজ্ঞতা থেকেই করছেন। নব্য এমন অনেকেই ভারতীয় সংস্কৃতিকে আক্রমণে সচেষ্ট। অনেকেই তো এতদিন তুলসী গাছকেও অবজ্ঞা করে এসেছেন। এখন তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেনl”

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সদস্যকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করায় ‘হুমকি’ তৃণমূলের, বিজেপির নেতৃত্বে পালটা হামলা স্থানীয়দের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement