ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: ফের বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) নিশানায় বিজেপি। দলীয় কর্মী সঞ্জিত ঘোষের খুনের জন্য দায়ী করলেন সৌমিত্র খাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যকে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “আমরা যদি নড়েচড়ে দাঁড়াই তাহলে ওরা কেউ বাঁচতে পারবে না। একুশের নির্বাচনের পর ভয়ংকর খেলা হবে।”
গত মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামেই আক্রান্ত হন পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের নিগন গ্রামের ১৯৮ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ ওরফে কালু। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সঞ্জিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন নিহতের বাবা সাগর ঘোষ। অভিযুক্তরা সকলেই বিজেপির নেতা-কর্মী। ৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। শুক্রবার নিগন গ্রামে গিয়ে নিহত তৃণমূল কর্মী সঞ্জিত ঘোষের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অনুব্রত মণ্ডল। পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি। সেখান থেকেই দলীয় কর্মীর খুনের ঘটনায় বিজেপি সাংসদকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, “নিগন গ্রামে বিজেপির সভায় সৌমিত্র খাঁ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছিল, যার ফলে একজন মানুষ মারা গেল। এর বিচার হবে। দোষীরা কেউ পার পাবে না। সাজা হবেই।”
এদিন নিগন হাটতলায় সঞ্জিতের স্মরণসভায় যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখান থেকে তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এই খুনের রাজনীতি করে না। আমরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিই না। তবে দোষীরা সাজা পাবেই। কেউ পার পাবে না। যদি কেউ ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়িয়ে দেবে তাহলে জেনে রাখুন প্রধানমন্ত্রীর বাপের ক্ষমতা নেই দোষীদের ছাড়িয়ে দেবে।” এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, “বিজেপি হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই। একুশের পর ভয়ংকর খেলা হবে।” কীসের ইঙ্গিত দিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা? তা নিয়ে শুরু জল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.