Advertisement
Advertisement

Breaking News

অপপ্রচারের অভিযোগ, প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে জেলাশাসকের দ্বারস্থ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

স্কুলে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে, অভিযোগ প্রাক্তন পড়ুয়ার।

Controversy started over an ex-students behaviour
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 14, 2019 8:47 pm
  • Updated:July 14, 2019 8:47 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্কুলের নামে অপপ্রচার ও

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সরঙ্গা হাইস্কুলে। বাধ্য হয়ে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জেলাশাসকদের দ্বারস্থ হলেন খণ্ডঘোষের সরঙ্গা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই স্মারকলিপি দেওয়ার নামে স্কুলে বিশৃঙ্খলা করছেন ওই পড়ুয়া। ফলে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, অন্যন্য শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির নামে অপপ্রচার করছে অভিযুক্ত। এমনকী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুনরাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত পঞ্চসায়র]

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, “লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই সরঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও ওই স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া রামনারায়ণ দে স্কুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতির নামে আপত্তিকর কথা বলছে। ফোনে হুমকি দিচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।” ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, “এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যার জেরে শিক্ষক-শিক্ষিকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছেন সকলে। স্কুলের পরিবেশটাও নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”

শিক্ষিকা দিপালী মণ্ডল কথায়, “রামনারায়ণ আমাদেরই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র। তার স্কুলের প্রতি অভাব-অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু সে যা শুরু করছে তা কখনই কাম্য নয়।” স্কুলের সভাপতি প্রণবকুমার তা বলেন, “লোকসভা ভোটের পর থেকে এই ধরণের অত্যাচার শুরু হয়েছে।” কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে না জানালেও স্কুল সূত্রে খবর, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে।

[আরও পড়ুন:  ম্যানগ্রোভ কেটে ফিশারি তৈরিতে এফআইআর, বনমহোৎসব থেকে কড়া নির্দেশ ব্রাত্য বসুর]

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত রামনারায়ণ দে। তিনি জানান, “স্কুলে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে। তা নিয়ে সরব হয়েছি বলেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির মদতে স্কুলের লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় হয়েছে। কাটমানি খাওয়া হয়েছে। একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রদের এই স্কুলের ছাত্র বলে দেখানো হয়। আমি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেব আরটিআই করি। বিডিওর কাছেও অভিযোগ করি। তাই আমাকে আটকাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” এই বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শ্রীধর প্রামাণিক জানিয়েছেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগ করে থাকলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement