Advertisement
Advertisement

Breaking News

tmc

স্বজনপোষণের অভিযোগ প্রাক্তন কাউন্সিলরের, মিহির গোস্বামীর পর তৃণমূলে ফের ভাঙন? তুঙ্গে জল্পনা

ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর 'দুর্নীতির জাহাজ', পালটা দিলেন নেতারা।

Controversy started over a former TMC councillor's comment | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 30, 2020 10:08 pm
  • Updated:November 30, 2020 10:14 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান শহরে ফের তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে। এমনকী কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কটুক্তিও শুরু হয়েছে পরস্পরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ওঠা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। এমনকী বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশকে দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বজনপোষণের মতো অভিযোগও করছেন প্রকাশ্য সভা থেকে। বর্ধমান পুরসভার সিপিএমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের বহিষ্কৃত জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আইনুল হকের তৃণমূলে যোগদান নিয়েও তোপ দাগেন খোকনবাবু। প্রাক্তন কাউন্সিলরদের একাংশও খোকন দাসের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগতে শুরু করেছেন। খোকনবাবুকে শহরের সব থেকে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বলেও মন্তব্য করছেন তাঁরা।

রবিবার বর্ধমানের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মসূচিতে যোগ দেন খোকনবাবু। সেখানে আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল রব-সহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেই সভা থেকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার, শহর তৃণমূল সভাপতি অরূপ দাসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। তাঁর অনুগামী নন, এমন কাউন্সিলররা দুর্নীতিগ্রস্ত, রাস্তা, করতে, ড্রেন করতে টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ তেলেন খোকনবাবু। চাকরির নামেও ওই নেতারা টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। সভায় আইনুল হকের তৃণমূলে যোগদান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। খোকনবাবু বলেন, “কে আইনুল হক যে তাঁর পাশে স্বপন দেবনাথ একই মঞ্চে বসবে। ওকে আমরা মানি না। যারা রক্ত দিয়ে তৃণমূল করেছি তাঁরা সিমিএমের ওই খুনী নেতাকে তৃণমূলে মানি না।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন:দলবিরোধী কাজ! আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকেই সাসপেন্ড ২ তৃণমূল নেতা ]

খোকনবাবুর বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা এমন কোনও কাজ করি না যাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়। দুর্নীতির প্রসঙ্গ যখন উঠেছে তখন একটা কথাই বলি উনি দুর্নীতির জাহাজ। ১০ বছর আগে উনি দোকানে দোকানে সাইকেলে করে ব্রিকেট বিক্রি করতেন। আজকে ১০ বছরের মধ্যে ইমারত কীভাবে গড়ল, স্কর্পিও গাড়ি কোথায় পেল। আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি যিনি ছিলেন তিনি ২০১৪ সালে কলকাতায় তৃণমূল ভবনে যখন মিটিং হয় তিনি ওনাকে বলতেন দিনে তৃণমূল রাতে আইনুল।” সনৎবাবু আরও জানান, রাসবিহারী হালদারকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরূপ দাসকে ২০১৫ সাল থেকে শহরের সভাপতি করেছেন। এখনও করেছেন।

খোকন দাসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উনি দুর্নীতির জাহাজ, পিকের টিম দলের কাছে সেই খবর পৌঁছে দিয়েছে। হতাশ হয়ে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে বিজেপিকে মাটি পাইয়ে দিতে এমন করছে।” আইনুল হক বলেন, “আমি তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলে যোগদান করেছি। দলের মহাসচিব আমার হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে দলে নিয়েছেন। আর কে, কোথায় কী ব্যক্তিগত মত দিল তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ওনার ব্যক্তিগত মতামত তো আর দলের মতামত নয়।” তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু জানান, বিষয়টি জানা নেই।

[আরও পড়ুন: বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি, বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম মুর্শিদাবাদের কিশোর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement