দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা আক্রান্তর নিরিখে জেলাগুলিকে বিভিন্ন ‘জোন’-এ ভাগ করেছে রাজ্য সরকার। রেড জোনে বেশি করোনা আক্রান্ত। অরেঞ্জ জোনে তার চেয়ে কম। গ্রিন জোনে আপাতত ভয়ের কিছু নেই। তবে সব জায়গায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এবার গ্রিন জোনে হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার সুযোগই কাজে লাগাতে চাইছে বাঁকুড়ার একটি কলেজ। বিষয়টিতে হতবাক শিক্ষা মহল।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তাঁরা বলছে, “আগামী অনেকদিন করোনা নিয়েই চলতে হবে। আপনার সন্তানকে গ্রিনজোনের বাঁকুড়া কলেজে ভরতি করুন। নিশ্চিন্তে থাকুন।” এই বিজ্ঞাপনেই শুরু বিতর্ক। এবছর এখনও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাই হয়নি। আগে পরীক্ষা। তারপর ফল প্রকাশ। তারপর তো ভরতি। তাহলে এখন থেকে কেন ভরতির বিজ্ঞাপন? তাও আবার গ্রিন জোনের টোপ দিয়ে! প্রশ্ন তুলেছেন অনকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও এলাকা বিশেষ একটি জোনে আছে মানে ভবিষ্যতেও যে সেই জোনেই থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে ‘টোকেন মানি’ নিয়ে আসন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বি-টেক এবং এম-টেক-এর ভরতি প্রক্রিয়া চলছে। গ্রিন জোন প্রসঙ্গে কলেজের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সরকারি ঘোষণা মোতাবেক আমাদের এলাকা যে গ্রিনজোন তা জানানো হয়েছে। তবে শুধুমাত্র সেই কারনেই যে ছাত্রছাত্রীরা এখানে ভরতি হবেন তা নয়। আমাদের প্লেসমেন্ট ব্যবস্থা ভাল। পড়াশোনার মানের কথা মাথায় রেখেই অভিভাবকরা এখানে তাদের সন্তানদের পাঠাবেন।” তাঁদের কথায়, পাঠক এবং দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা নানা আকর্ষণীয় ‘ক্যাচ লাইন’ ব্যবহার করেন। তবে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে করোনাকে হাতিয়ার করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতছানি দিতে পারে তাও অভাবনীয়। হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের বিজ্ঞাপনে যদিও করোনার কথা উল্লেখ করতে দেখা যাচ্ছে। কলেজে ভরতির ক্ষেত্রেও করোনার উল্লেখ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তীব্র হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.