দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: উদয়ন গুহ’র (Udayan Guha) পথে হেঁটে এবার বিতর্কে জড়ালেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। কর্মিসভা থেকে দলেরই এক নেতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে পালটা দিতে ছাড়েননি দিলীপ যাদব।
রবিবার হুগলির উত্তরপাড়ায় একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়েছিলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। সেখান থেকেই দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এক নেতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, “পার্টি থেকে করে খাচ্ছেন আর কর্মীদের বঞ্চিত করছেন। প্রয়োজনে কর্মীরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবেন। হুগলি জেলায় এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” এরপরই কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমিও কর্মীদের মধ্যে থেকে উঠে এসেছি। তাই ওদের পরিস্থিতি ওদের যন্ত্রণা আমি বুঝি।” তবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুগলির তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। পালটা দিয়ে তিনি বলেন, “দলের শক্তিবৃদ্ধি করাই আমার কাজ। কে কী বলল তাতে আমার কিছু এসে যায় না।” বিধায়ক- জেলা সভাপতির আক্রমণ পালটা আক্রমণে প্রকাশ্যে অর্ন্তকলহ। আর এই বিষয়টাকেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে দিনহাটার নিগমনগর এলাকায় এক কর্মিসভায় দিনহাটার বিধায়ক বলেন, “অনেক খেয়েছেন, ভবিষ্যতেও খেতে পারবেন। ৬ মাস যদি না খান তবে পরবর্তীতে খাবার অনেক সুযোগ পাবেন।”বিধায়কের এই মন্তব্য ভাইরাল হওয়ায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আসরে নামে বিরোধীরা। শাসকদলকে কটাক্ষ করেন জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি মালতি রাভা। বলেন, “এখানে বিধায়ক স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা দুর্নীতি করলে সাধারণ মানুষ কখনও পাশে থাকবে না। তাই গ্রামবাসীদের ভাওতা দিয়ে ৬ মাস কাজ করে পরের পাঁচ বছর লুটের পরিকল্পনা করেছে। এটা কখনই হবে না। মানুষ সব বোঝে। তার যোগ্য জবাব এবার নির্বাচনে তৃণমূল পাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.