অর্ণব দাস, বারাসত: জনপ্রিয়তার মাঝে এবার মধ্যমগ্রাম খাদিমেলায় বিতর্কের আঁচ। এবছরের মেলায় আমন্ত্রণই পেলেন না এলাকার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)! আমন্ত্রণপত্রে একগাদা নামের ভিড়ে তাঁর নামই নেই। আর তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও শুক্রবার, খাদিমেলার উদ্বোধনী মঞ্চেই মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ উদ্যোক্তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরবর্তী সময় এমন ‘ভুল’ ভুলেও হবে না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram) অষ্টম খাদিমেলার আমন্ত্রণপত্রটিতে মোট ১৬ জনের নাম রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক, আমলা, পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক ব্যক্তি আমন্ত্রিত সেখানে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বারাসতের সাংসদ (TMC MP)কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নামই নেই। তিনি আলাদাভাবেই আমন্ত্রিত হননি। শুক্রবার উদ্বোধনী মঞ্চে উঠে তা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ-সহ উদ্যোক্তারা।
চৌমাথা সুভাষ ময়দানে প্রতি বছর জেলা খাদি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান বক্তা এবং প্রধান অতিথি হিসাবে সকলেই দেখে এসেছেন বারাসতে সাংসদ-বিশিষ্ট চিকিৎসক কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এবছরই ব্যতিক্রম। এমন ভুল হল কী করে? আমন্ত্রণপত্রে নামই নেই কেন? আর সাংসদের অনুপস্থিতিতে খাদি মেলার পরিবেশ কেমন যেন বেমানান হয়ে গেল শুক্রবার সন্ধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, এটা একটা বড় ভুল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পর্ষদ সভাপতি ও খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখানে সাংসদের ক্ষুন্ন হওয়ার মত কিছু নেই, তবে বিষয়টি বড় ভুল বলেও চিহ্নিত করেছেন মন্ত্রী।
কল্লোল খাঁ-ও মনে করেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। কীভাবে এই ভুল হল, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই তিনি কথা বলেছেন। এই ত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, আগামী দিনে এই ভুল যেন না হয়, সেই দিকেও নজর রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। একই দাবি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বীণা মণ্ডল। সাংসদকে আমন্ত্রণ না জানানোর মতো ভুলের জন্য তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন। শুক্রবার অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর খাদিমেলার উদ্বোধন হয়ে গেল, চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.