রাহুল চক্রবর্তী: চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের জন্য এবার স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার৷ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সরকারি কাজে কণ্ট্রাক্টচুয়াল, ক্যাজুয়াল ও দৈনিক পারিশ্রমিক হিসাবে কাজ করা কর্মচারীদের৷ যেখানে পরিবারের সদস্যসংখ্যা বিবেচ্য নয়৷ সরকারের বক্তব্য, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পাশে আছে রাজ্য৷ তাদের দেখভালের জন্যই এই স্বাস্থ্যবিমা৷
সরকারি কর্মচারীদের আগেই হেলথ ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার৷ সদ্যজাত শিশু থেকে মা–সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে একাধিক প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে৷ এবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার, গ্রিন পুলিশ ভলান্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভিলেজ পুলিশ ভলান্টিয়ার, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, হোম গার্ড, এনভিএফ, আশা কর্মী, আইসিডিএস কর্মী৷ এছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন৷ এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ যার নম্বর ছিল ১১০৪-এফ (পি)৷ বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় দেড় লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমা পাবেন কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্য৷ যেখানে পরিবারের সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই৷ পরিবারের সকলের জন্যই এই প্রকল্প৷ বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ক্যান্সার, নিউরো সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, লিভার ডিজিজ, ব্লাড ডিজঅর্ডার-সহ একাধিক সঙ্কটজনক ব্যাধিতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার আওতাভুক্ত হবেন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী৷ এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকাই বহন করবে রাজ্য সরকার৷ কর্মচারীকে বার্ষিক কিংবা ত্রৈমাসিক কোনও প্রিমিয়াম দিতে হবে না৷ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করবে৷
প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের বিষয়ে সব জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় যাঁরা আছেন, তাঁদের ডেটাবেস তৈরি করছে জেলা প্রশাসন৷ একটি পোর্টালে তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে৷ এর জন্য বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিডিও, এসডিও ও পুরসভাগুলিকে৷ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত কতজন, তার তথ্যই জোগাড় করছে প্রশাসন৷ এরপর ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’ প্রদান করা হবে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের৷
প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনও এই প্রকল্প দ্রুত কার্যকর করতে জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করছে৷ এ বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রাহুল মজুমদার বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্তদের নথি সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ এরপর স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে৷ উপভোক্তারা যাতে দ্রুত এই প্রকল্পের সুবিধা পান, তার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে৷ কাজ চলছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.