প্রতীকী ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমে জোটে জট। বামফ্রন্টের উদ্যোগে কং-বাম-আইএসএফ জোট ঘোষণার দিনেই সিউড়িতে পালটা সভা কংগ্রেসের। সেখান থেকেই তাঁরা বার্তা দিল, সিপিএমের দাদাগিরি মানবেন না। যদিও জোটপন্থী সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ দাবি করলেন, কে কটা আসন পেল এটা বড় কথা নয়। রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে লড়তে হবে। জোটপন্থী কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সব অভিমান থেমে যাবে। যদিও কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি মৃণাল বসু এদিন জানিয়ে দেন, তাঁরা এই জোট মানেন না। কংগ্রেস সর্বত্র প্রার্থী দেবে। এমনকী আই এস এফের জেলা আহ্বয়ক জসিমুদ্দিন শেখও জানান, সিপিএমের পক্ষ থেকে জোটের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আমরা আমাদের যেখানে শক্তি সেখানে প্রার্থী দেবো।
রবিবার সিউড়িতে সিপিএমের জেলা কার্যালয় সুরেন শরদীশ ট্রাস্ট ভবনে কংগ্রেসের চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় ও সঙ্গী দুই বাম দলকে নিয়ে জোটের ঘোষণা করেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ। তিনি জানান, বীরভূমের ৫২ টি জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে সিপিএম ৩২, ফরওয়ার্ড ব্লক ৩ সিপি আই ১ ও কংগ্রেস ৭। মোট ৪২ টি আসনে সমঝোতা হয়েছে। বাকি ১০ টি আসনে কে কোথায়
প্রার্থী দেবে এটুকুই সমঝোতা হতে বাকি। সোমবারের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ১০ টি আসন ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেসের মধ্যে ভাগ হবে। আই এসে এফ জোটে আছে। তাঁদের সিপিএমের বরাদ্দ আসন থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গৌতম ঘোষ দাবি করেন, গতবার তৃণমূলের বিরোধিতা না করলেও এবার সিপিআইএমএল ও সি পি আই এন ডি দুই বাম সংগঠন তাঁদের জোটে সামিল হয়েছেন।
অন্যদিকে জোট ঘোষণার সময়েই সিউড়িতে সাহিত্য পরিষদে জেল কংগ্রেসের পদাধিকারীরা মৃণাল বসুর ডাকে সমবেত হন। সেখানে জেলা সাধারণ সম্পাদক ও প্রদেশ সদস্য রথীন সেন, সত্যব্রত ভট্টাচার্য, অসংগঠিত কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ সাউ ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মেঘনাথ মাসাদ-সহ অনান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মৃণালবাবু স্পষ্টতই বলেন, “আমরা জোটের পক্ষে কিন্তু তাতে সিপিএমের দাদাগিরি মানবে না। জেলা সভাপতি মিলটন রসিদ জোটের আগে প্রার্থী নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি। একরকম সিপিএমের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন। কেন কী স্বার্থে জানি না।” এদিনের বৈঠকে
কংগ্রেস নেতা কর্মীরা জানিয়ে দেন, জেলার সর্বত্র কংগ্রেস তাদের প্রার্থী দেবে। বৈঠক থেকে কংগ্রেসের রাজ্য নির্বাচনী কমিটির প্রধান নেপাল মাহাতোকে বিষয়টি জানানো হয়। অন্যদিকে আই এস এফের জশিমুদ্দিন শেখ জানান, মুরারই, ময়ূরেশ্বর, সিউড়িতে তাদের সংগঠন শক্তিশালী। সেখানে তারা প্রার্থী দেবেন। জোট নিয়ে তারা কিছু ভাবছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.