Advertisement
Advertisement

Breaking News

অধীর চৌধুরি

মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা, প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় অধীর চৌধুরি

জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

Congress MP and former state president Adhir Chowdhury in Dharna
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 16, 2019 9:08 am
  • Updated:April 17, 2019 1:15 pm  

কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন রাতেই মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দাশগুপ্তর উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ঘটনার প্রতিবাদে রাতভর জেলার প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনায় বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন অধীর।

[আরও পড়ুন: প্রচারে নেমে পরিবেশ সচেতনতায় উদ্যোগ বনগাঁর কংগ্রেস প্রার্থীর]

গতকালই মুর্শিদাবাদে জোড়া জনসভা থেকে অধীর চৌধুরির সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএসের আঁতাতেরও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এরপরই রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় কংগ্রেস নেতার উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গতকাল রাতে বড়ঞা এলাকায় মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সহ-সভাপতি তাপস দাশগুপ্তর উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে তাপসবাবুর উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা পায়ে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাঁকে রাতেই কান্দি হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়। ঘটনার পর রাতেই ক্ষুব্ধ বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা ওই কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরি জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু, তাতে কোনও ফল না মেলায় রাতেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন অধীর।সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রাতভর জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এখনও তিনি ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: সিপিএম-বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস, অধীরের ডেরায় অভিযোগ মমতার]

অধীরের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরই এই হামলা, এর পিছনে কী রহস্য আমরা বুঝতে পারছি না।” মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকেও কাঠগড়ায় তোলেন অধীরবাবু। এর আগে বড়ঞা এমনকী প্রকাশ্যে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে হুমকিও দিতে শোনা যায় তাঁকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গভীর রাতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাহে আলম এবং বাবাই নামের দুই অভিযুক্তই তৃণমূল যুব সভাপতি বলে দাবি কংগ্রেসের। যদিও, হামলার অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement