রাহুল চক্রবর্তী: জনপ্রতিনিধি হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। রাজ্যে পালাবদলের পর মন্ত্রীও ছিলেন প্রায় বছর দেড়েক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়। গত কয়েক মাস ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রবীণ এই বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিকল্পনা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়। তবে বেশিদিন অবশ্য মন্ত্রী ছিলেন না তিনি। বছর দেড়েক পর যখন কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট ভেঙে যায়, তখন মন্ত্রিত্ব হারান প্রমথনাথবাবুও। তবে ২০১৬ সালে ফের কালিয়াগঞ্জ থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে যকৃতে সিস্ট ধরা পড়ে প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিস্ট থেকেই শেষপর্যন্ত ক্যানসারে আক্রান্ত হন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রমথনাথ রায়। তবে যেহেতু এখন স্পিকার শহরে নেই, তাই রীতি মেনে অল্প কিছুক্ষণের জন্য প্রয়াত বিধায়কের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। বিধানসভায় প্রয়াত প্রমথনাথ রায়কে শ্রদ্ধা জানান শাসক ও বিরোধী দলের কয়েকজন বিধায়ক। মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনেও। এরপর প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়কের দেহ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান পরিবারের লোকেরা।
গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন ৪৪ জন। কিন্তু, পরবর্তীকালে দলবদলে তৃণমূলে যোগ দেন ১৭ জন। যদিও বিধায়ক পদ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউই ইস্তফা দেননি। প্রয়াত প্রমথনাথ রায় অবশ্য আমৃত্যু কংগ্রেসেই ছিলেন। দলের কঠিন সময়ে তাঁর মৃত্যু কংগ্রেসের বড় ক্ষতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.