স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন৷ কংগ্রেসেরই কোনও সদস্যের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকে মঙ্গলবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পিএসি চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া৷ একইসঙ্গে দলের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি৷
গত ২৬ আগস্ট বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে কংগ্রেস বিধায়করা সিদ্ধান্ত নেন, মানস ভুঁইয়াকে সাসপেন্ড করা হোক৷ পরে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, “কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের ঘরে মানস ভুঁইয়া আর বসতে পারবেন না৷ তাঁকে বয়কট করা হয়েছে৷ কংগ্রেসের পরিষদীয় দল থেকে মানস ভুঁইয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷” তবে, দলগতভাবে সাসপেন্ডের বিষয়টি এআইসিসির উপর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কথা মানসবাবুকে কেন চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি, তা নিয়ে অবশ্য কোনও কথাই বলতে চাননি বিরোধী দলনেতা৷ এমনকী, বিষয়টি স্পিকারকেও জানানো হয়নি৷ ওইদিনই মান্নান জানিয়েছিলেন, “এর পরেও কংগ্রেসের ঘরে মানস ভুঁইয়া ঢুকলে, যদি কিছু ঘটে যায় তার দায় তিনি নেবেন না৷”
পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্তের পরই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া৷ মঙ্গলবার তিনি বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানান৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছি৷ বিরোধী দলনেতা যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমি আতঙ্কিত, বিধানসভার ভিতরে কিংবা বাইরে আক্রান্ত হতে পারি৷ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি৷ সেই কারণে স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি৷” প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান মানসবাবু৷ একইসঙ্গে মানস জানান, আমি এখন রিফিউজি৷ স্পিকারের কাছে অনুরোধ করেছি, যদি বসার জায়গার কোনও ব্যবস্থা করা যায়৷ যদিও মানসের এই চিঠিকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি অঙ্কের শিক্ষক থাকাকালীন কোনও ছাত্রকে বেত পর্যন্ত মারিনি৷” এদিকে মানস ভুঁইয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের ঘরে এক গ্লাস জল খেতেও যাবেন না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.